চন্দ্রশেখর চট্টোপাধ্যায়, আসানসোল: “এনআসরি বিরোধীতায় যারা বাস ট্রেন জ্বালিয়েছে তারা অনুপ্রবেশকারী, দিদির পোষা জামাতি গুন্ডাবাহিনী, এটা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাই প্রথমে CAA-তে অত্যাচারিত শরনার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে তারপর এনআরসি করে এই জামাতি অভারতীয়দের এদেশ থেকে তাড়ানো হবে। মিথ্যা কথা বলে, ঘন্টা বাজিয়ে, ক্যা-ক্যা-ছি-ছি করেও কোনও লাভ হবে না”, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবেই কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর ৯৫তম জন্মজয়ন্তী পালন করতে এসে মুখ্যমন্ত্রীকে ফের তোপ দাগলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। NRC ও CAA বিরোধীতার প্রসঙ্গ তুলে তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন। এদিন গুজরাটি ভবনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাবুল সুপ্রিয় আনআরসির বিরোধীতার প্রসঙ্গে বলেন, “বাম আমলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই ৮৫ লাখ ভুযো ভোটারের অভিযোগ করেছিলেন। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন ১৮০ ডিগ্রী পালটি মেরেছেন। ২০০৮ সালে যে মতুয়াদের ভারতীয় নাগরিকতা দেওয়ার কথা বলেছিলেন, সেই মতুয়াদের যখন আমরা নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করছি তখন তিনি বিরোধীতা করছেন। মতুয়ারাও জানেন তিনি কীভাবে ঠকাচ্ছেন।
বাবুল সুপ্রিয় এদিন সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নে বলেন, “অটলবিহারী বাজপেয়ী শুধু প্রধানমন্ত্রী নয়, একজন বিচক্ষণ সত্যনিষ্ঠ রাজনীতিবিদ ছিলেন যাঁকে সমস্ত দলের মানুষ ভালোবাসতেন, শ্রদ্ধা করতেন। কিন্তু এমন রাজনীতির মানুষও আছেন যাঁদের আবার সত্যি কথা বললে লাভ হয় না বলে সবসময় মিথ্যা কথা বলেন। ক্যা-ক্যা-ছি-ছি করেন। অথচ এমন মানুষের কালীঘাটের বাড়িতে অটলজি গিয়েছিলেন। যখন দিদির পায়ে হাওয়াই চটি ছিল আর ভাইয়েরা কোটিপতি হয়নি, সেসময় অটলজি কালীঘাট গিয়েছিলেন। তাঁর মায়ের মা ছুঁয়ে প্রণামও করেছিলেন। যদিও পরে সেই অটলজির সঙ্গেই বিশ্বাসঘাতকতা করে জোট ছেড়ে বেড়িয়ে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়”।
বুধবার রানিগঞ্জ হয়ে আসানসোলে আসেন বাবুল সুপ্রিয়। রানিগঞ্জ ও আসানসোলে দুঃস্থদের কম্বল বিতরণ করেন। সেখান থেকে তিনি কুমারপুর ওভারব্রিজের কাজ দেখতে চলে যান। ব্রিজের কাজ দেখে সন্তোষ প্রকাশ করে বাবুল বলেন পিলারের জন্য ১৮ মিটার খোঁড়া দরকরা ১৬ মিটার খোঁড়া হয়ে গিয়েছে। ব্রিজের বাম পাশে ২২ টি পিলার ও ডানপাশে ১৮ টি পিলার বসবে। কাজ শুরুর পর ব্রিজ তৈরির দ্রুততা দেখে উচ্ছস্বিত হন তিনি। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের একমাত্র ব্রিজ যেটি রেল ও সেল যৌথ উদ্যোগে করছে।”
পুনবার্সনের প্রসঙ্গে বলেন, “আমি সরাসরি এখানের দোকানদারদের সঙ্গে বসে কথা বলেছি। পুনবার্সনের জন্য ডিআরএম অফিসে সবাইকে ডেকেওছিলাম কিন্তু কেউ আসেনি। তবু বলব পুনবার্সন চাইলে নিশ্চয় দেওয়ার ব্যবস্থা হবে কিন্তু যাঁরা দাবি তুলছেন তাঁরা কেউই আজ পর্যন্ত সামনে আসেনি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.