ছবি: প্রতীকী
শংকরকুমার রায়, রায়গঞ্জ: মালদহ, হাওড়ার পর এবার উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ (Hemtabad)। পার্সেল বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল বাহারাইল হাইস্কুলের পাশের ওষুধের দোকান। গুরুতর জখম অন্তত ৩ জন। তাঁরা রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি। কে বা কারা এই ঘটনাটি ঘটাল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদে বাহারাইল হাইস্কুলের পাশে ওষুধের দোকানে অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবারও চলছিল বিকিকিনি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সেই সময় একটি টোটো ওষুধের দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায়। কোনও যাত্রী ছিলেন না। টোটোচালক ওষুধের দোকানের মালিক বাবলু রহমান চৌধুরীর হাতে একটি পার্সেল (Parcel) তুলে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দোকান ছেড়ে টোটো নিয়ে এলাকা ছাড়েন। তারপরই পার্সেলটি খোলেন ওষুধের দোকানের মালিকের ভাইপো। পার্সেল খোলার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে চতুর্দিক। গুরুতর জখম হন ওই যুবক। তাঁর পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা ওষুধের দোকানের মালিক এবং বিস্ফোরণের সময় দোকানে থাকা এক ক্রেতাও জখম হন। তাঁদের ইতিমধ্যে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
দোকান মালিকের নামেই পার্সেলটি এসেছিল। তবে পার্সেলে প্রেরকের নাম উল্লেখ ছিল না। এই পার্সেলটি আদৌ কে পাঠিয়েছিল, কী-ই বা ছিল তাতে, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনার তদন্তে নেমেছে হেমতাবাদ থানার পুলিশ। ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিয়ে কেউ একাজ করে থাকতে পারে বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে। জেলা পুলিশ শানা আখতার পার্সেল বিস্ফোরণের সত্যতা স্বীকার করেছেন। পার্সেলের ভিতর বোমা ছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই জানান তিনি।
তবে এই প্রথমবার নয়। এর আগেও পার্সেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গত ২০১১ সালে মালদহের ইংরেজবাজারে পার্সেল বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক শিক্ষিকা। ঠিক তার পরের বছর অর্থাৎ ২০১২ সালে একই ঘটনা ঘটে। বাকসাড়ায় পার্সেল বিস্ফোরণে রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। এবার সেই একইরকম ঘটনার সাক্ষী উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদের বাহরাইল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.