সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৌষমেলার মাঠে বিশ্বভারতী (Vishva Bharati) কর্তৃপক্ষের নির্মিত পাঁচিল ভাঙা প্রতিরোধ করে কী ভূমিকা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের? সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া তাঁর কথোপকথনের ২৮ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ঘিরে এসব প্রশ্নই সামনে আসছে। যদিও একাংশের দাবি, ভিডিওটি সাম্প্রতিক নয়, গত বছরের কোনও ঘটনার। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক।
ভাইরাল ভিডিওটিতে শোনা গিয়ে জনৈক ব্যক্তির সঙ্গে উপাচার্যের একটি কথোপকথন। সেখানে ওই ব্যক্তি তাঁকে জানাচ্ছেন যে আহত পড়ুয়াদের নামের তালিকা তিনি উপাচার্যের কাছে পাঠিয়ে দেবেন। এরপর উপাচার্যকে বলতে শোনা যায়, ”মেডিসিন দিয়ে দিন।” ভিডিওতে এরপর রয়েছে, উপাচার্যকে জানানো হচ্ছে, ”স্যর, আপনার গ্রিন সিগন্যাল (Green Signal) না থাকলে তো আমরা কিছু করতে পারি না।” এই সংলাপ ভাইরাল হতেই উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তাহলে সেদিন যাঁরা পাঁচিল ভাঙার সঙ্গে যুক্ত ছিল, তাঁদের প্রতিরোধ করার জন্য কি সরাসরি উপাচার্য নিজে কাউকে কোনও নির্দেশ দিচ্ছিলেন? কোন পরিপ্রেক্ষিতে এই ভিডিও, উপাচার্যের সঙ্গে কথোপকথনের অপর প্রান্তের ব্যক্তিই বা কে, এসব হাজারও প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে শান্তিনিকেতনে।
গত সোমবার, শান্তিনিকেতনের মেলার মাঠে উপাচার্য নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পাঁচিল তোলার কাজ করছিলেন। কিন্তু স্থানীয়দের একাংশ রীতিমত পে-লোডার নিয়ে গিয়ে তা ভেঙে দেয়। পড়াশোনার মুক্ত পরিবেশে কেন পাঁচিল উঠবে, এই প্রশ্ন তুলেই ভেঙে ফেলা হয় নির্মাণ। এই ঘটনা ঘিরে এবার নজিরবিহীন এক পরিস্থিতির মুখে পড়ে দেশের ঐতিহ্যমণ্ডিত কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বভারতী। সেই জল এখনই গড়িয়েছে অনেকটা দূর। ঘটনায় রাজনীতির রং লাগার অভিযোগ উঠেছে। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে (PMO) নালিশ ঠুকেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। আর এই আবহেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্বভারতীর উপাচার্যের এই কথোপকথনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর বিতর্ক বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও একাংশের দাবি, এই ভিডিও গত বছরের। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.