সৌরভ মাজি, বর্ধমান: রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona Virus) সংক্রমণ। সঙ্গে বাড়ছে কনটেনমেন্ট জোনের (Containment Zone) সংখ্যাও। ব্যারিকেড করে আক্রান্তদের বাড়ি-পাড়া ঘিরে দেওয়া হচ্ছে। কিন্ত তাতে বিশেষ লাভ হবে না বলে মনে করছেন রাজ্যের কোভিড উপদেষ্টা মণ্ডলির সদস্য তথা বিশিষ্ট চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরি। শনিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কাদম্বিনী সভাকক্ষে কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্ক নামে একটি সংস্থার বর্ধমান শাখার সূচনা করতে এসেছিলেন তিনি। সেখানেই তিনি ব্যারিকেডের বিরোধিতা করেন।
ব্যারিকেড তত্ত্বের বিরোধিতা করে চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরি বলেন, “মনে রাখতে হবে লোহার বাসর ঘর করেও লখিন্দরকে সাপেল ছোবল থেকে বাঁচানো যায়নি। বাঁশের ব্যারিকেড করে বাসিন্দাদের খাঁচায় বন্দি করে জেলে রাখার মত অবস্থা করে করোনা ঠেকানো যাবে না। বরং সংবেদনশীল হতে হবে।” তাঁর মতে, এইভাবে মানুষকে মানসিকভাবে বিচ্ছিন্ন করে মানুষকে মেরে ফেলে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। এই বিষয়ে তিনি প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলবেন। বিকল্প পথের সন্ধান করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে মানুষ স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে। করোনা মানে আতঙ্ক নয়, করোনা মানে মৃত্যু নয়, করোনা মানে জয়। কোভিডকে যাঁরা জয় করেছেন তাঁদের নিয়ে কোভিড সহযোগীদের মাধ্যমে মানুষের মনের ভয় দূর করতে হবে। সম্মিলিতভাবে লড়াই করতে হবে কোভিডের বিরুদ্ধে।
এদিকে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষ থানার ওসি-সহ ১৬ জন পুলিশ আধিকারিক ও কর্মী করোনা আক্রান্ত হলেন একসঙ্গে। শুক্রবার চারজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। শনিবার আরও ১২ জনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ফলে থানার প্রায় সব আধিকারিক ও কর্মী আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জরুরি ভিত্তিতে সেখানে সমসংখ্যক পুলিস আধিকারিক ও কর্মী পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন। সার্কেল ইনস্পেক্টরকে থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। খণ্ডঘোষের ওসি প্রসেনজিৎ দত্ত এর আগেও করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে কাজেও যোগ দিয়েছিলেন। ১৫ আগস্ট কোভিড যোদ্ধা সম্মানও পান তিনি। ফের তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। এর আগে মেমারি থানার পালসিট ফাঁড়ির ১৬ জন পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.