সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: সমুদ্রতটে দৈত্যাকৃতি ডলফিনের (Dolphin) নিথর দেহ। সৈকতে ঘুরতে ঘুরতে পর্যটকদের তা চোখে পড়া মাত্রই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল ডায়মন্ড হারবারের বকখালিতে (Bakkhali)। নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে খবর। বিশালাকার ডলফিনটি দেখতে সৈকতে ভিড় করেন অন্যান্য পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পাঠানো হয় ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল থানা এবং বনদপ্তরে। এত ভারী জলজ প্রাণীটিকে রীতিমতো জেসিবির সাহায্যে তোলা হয় ট্রাকে।
দৈর্ঘে প্রায় ১৭ ফুট, প্রস্থে সাড়ে ৯ ফুট। ওজন প্রায় দেড় টন। লক্ষ্মীপুরের আবাদ গ্রামের কাছে সৈকতে পড়ে ছিল বিশালবপু এই ডলফিনের দেহটি। বকখালিতে আসা পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দারা মৃত ডলফিনটি দেখতে সৈকতে ভিড় জমান। দৈত্যাকৃতি একটি ডলফিনের দেহ পড়ে থাকতে দেখে এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। খবর পেয়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই ফ্রেজারগঞ্জ (Frezargunj)উপকূল থানার পুলিশ ও বনদপ্তরের কর্মী ও আধিকারিকরা ওই এলাকায় পৌঁছে যান। তা উদ্ধার হয়েছে।
বকখালির রেঞ্জ অফিসার অশোক কুমার নস্কর প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, কোনও জাহাজের সঙ্গে ধাক্কায় ডলফিনটির মৃত্যু হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। তবে প্রাথমিক অনুমান, সাধারণত এরা ৩০ থেকে ৩৫ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এটি পূর্ণবয়স্ক হওয়ার কারণেই মৃত্যু হয়েছে। এদিকে, মৃত ডলফিনটির দেহে নাইলনের দড়ি বেঁধে JCB-তে সেই দড়ি আটকে দেহটি তোলা হয় একটি ট্রাকে। দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় বনদপ্তর। পরে বিশালাকৃতি দেহটি পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু বকখালির এই সৈকতে কোথা থেকে এল, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.