রাজা দাস, বালুরঘাট: দেড়দিন পর নিখোঁজ শিশুর দেহ উদ্ধার ঘিরে তুমুল চাঞ্চল্য ছড়াল বালুরঘাটে (Balurghat)। রবিবার সন্ধেবেলা স্থানীয় থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে ‘খুনি’ প্রতিবেশী এক যুবক। তবে কী কারণে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণ ও খুন (Kidnap and Murder) করা হল, সে বিষয়ে পুলিশ এখনও অন্ধকারে। যুবক ও তার পরিবারের মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এলাকায় তীব্র শোরগোল এনিয়ে। ছেলেকে এভাবে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান পরিবার।
ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে বালুরঘাট পুরসভা এলাকার এ কে গোপালন কলোনিতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশী যুবক মানস সিংয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধে থেকে নিখোঁজ ছিল দীপ হালদার নামে ওই শিশু। ওইদিন বিকেলে মানস নামে প্রতিবেশী যুবক তাকে ঘুড়ি কিনে দেবে বলে নিয়ে যায়। ঘুড়ি কিনেও দেয়। এরপর সেই ঘুড়িটি নিয়ে ছোট্ট দীপ খেলতে যায় পাশের মাঠে। সন্ধে পেরিয়ে রাত্রি নামলেও বাড়ি ফেরেনি আট বছরের দীপ হালদার।
এরপরই খোঁজাখুঁজি শুরু করে তার আত্মীয়স্বজনরা। কিন্তু তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। দীপ হালদারের ঠাকুমা দীপ্তি মোহন্তর অভিযোগ, স্থানীয় মানস সিং নামের এক যুবক গতকাল ঘুড়ি কিনে দেওয়ার নাম করে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই দীপের আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এলাকাবাসী দাবি তোলেন, খুঁজে বের করা হোক অপহৃত শিশুকে। কিন্তু সন্ধেবেলা বাড়ির অদূরে একটি খাল থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় দীপের দেহ উদ্ধার হয়। আর তারপরই মানস সিং থানায় গিয়ে খুনের কথা কবুল করে আত্মসমর্পণ করে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মানস সিং, তার বাবা রবিন সিং, মা দুলো সিং এবং বোন মনোশি সিংকে গ্রেপ্তার করা হয়। কী কারণে মানস এমন কাজ করল, জেরা করে পুলিশ সেটাই জানতে মরিয়া।
এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই অভিযুক্ত মানস সিংয়ের বাড়িতে ভাঙচুর শুরু করে এলাকাবাসী, বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিশ সকলকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.