রাজা দাস, বালুরঘাট: বালুরঘাট শহরের বুক চিরে বয়ে চলা আত্রেয়ী নদীকে ব্যবহার করে সৌন্দর্য বৃদ্ধির প্রকল্পে গতি বাড়াল পুরসভা৷ কাজে গতি বাড়াতে আজ, সোমবার বালুরঘাট পুরসভা ও সেচ দপ্তরের কর্তারা প্রকল্প এলাকায় যৌথ পরিদর্শনের যান৷ পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত খাড়ি সংস্কার ও অন্যান্য কাজগুলি আগামী এক বছরের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রাও নির্ধারণ করা হয়৷ খাড়িকে কেন্দ্র করে সরকারি এই পরিকল্পনায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা৷
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট দিয়ে বয়ে চলা আত্রেয়ী নদী থেকে কল্যাণী ঘাট হয়ে একটি খাঁড়ি গিয়েছে ডাঙা ফরেস্টের দিকে। কল্যাণী ঘাট থেকে ডাঙা পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার খাঁড়িতে জলের গতিপথে প্রধান বাধা দূষণ৷ জঞ্জাল ও আগাছায় ভরতি থাকায় স্বাভাবিক গতি হারিয়েছে এই খাঁড়ি। বালুরঘাট শহরের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা এই খাঁড়িকে নিয়েই, একটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে জেলা প্রশাসন৷
পাঁচ কিলোমিটার খাঁড়িটি সংস্কার করার পাশাপাশি এই খাঁড়ির ধারে সৌন্দার্য বৃদ্ধিও করা হবে৷ সেচ দপ্তর ও বালুরঘাট পুরসভা এই কাজটি করবে পৃথকভাবে। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন আগে এই প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন বালুরঘাট লোকসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ। সংস্কার ও বিউটিফিকেশন করিডর প্রকল্পের বাস্তব রূপায়ণে, এবার সেচ দপ্তর ও বালুরঘাট পুরসভার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা খাঁড়িটি পরিদর্শন করেন। কাজটি কীভাবে শুরু হবে তার পর্যালোচনা করেন তাঁরা৷
[শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে দামোদরে তলিয়ে গেল দুই কিশোর]
বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান রাজেন শীল বলেন, ‘‘শহরের নিউ মার্কেট সংলগ্ন আন্দোলন সেতু এলাকা থেকে পাঁচ কিলোমিটার অর্থাৎ বালুরঘাট ফরেস্ট এলাকা পর্যন্ত খাঁড়িটি নিয়ে তাঁদের প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে৷ ন’টি ধাপে কাজ হলেও এখন তাঁরা তিনটি পার্ট হাতে পেয়েছেন৷ বাকি ছ’টি পার্ট কাজ পরে শুরু হবে৷ আপাতত, আন্দোলন সেতু থেকে ৬০০ মিটার পর্যন্ত খাঁড়ি এলাকার সৌন্দার্য বৃদ্ধির কাজ করবে বালুরঘাট পুরসভা। সেখানে খাড়ির পাড়ে বসার ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক বাতি, নানা ধরনের গাছ লাগাবে। এই বিষয়ে বালুরঘাট পুরসভা ইতিমধ্যেই একটি মডেল চিত্র প্রকাশ করেছে৷
বালুরঘাট ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার স্বপন বিশ্বাস জানান, মাটি ও জমে থাকা জঞ্জালে, জল যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয় খাঁড়ি দিয়ে। খাঁড়ির নাব্যতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় ঢাল তৈরির কাজ করবে সেচ দপ্তর। এতে তাঁদের খুব বেশি হলে পাঁচ মাস সময় লাগবে। বর্ষার পরেই কাজ শুরু করবেন তাঁরা। তাঁরা বাকি সৌন্দার্য বৃদ্ধির কাজ করবে পুরসভা৷ পৃথক ভাবে কাজটি হলেও তাঁর একসঙ্গে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.