সৌরভ মাজি ও ধীমান রায়: বাম সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটে সাতসকালে উত্তেজনা বর্ধমানে। গোটা রাজ্যেই ধর্মঘটকে সামনে রেখে নিজেদের সংগঠনকে চাঙ্গা করার লক্ষ্যে নেমেছিল বামেরা। তবে, রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের তুলনায় বর্ধমানে বাম কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা বেশি লক্ষ্য করা যায়। সাতসকালে রাস্তায় নামে বাম কর্মীরা। বনধে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া না মিললেও বাম কর্মীরা একপ্রকার জোর করেই বনধ সফল করার চেষ্টা করতে থাকে। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় পেট্রল পাম্পে।
ধর্মঘট সফল করতে বুধবার সকালে বর্ধমান শহরের বীরহাটা ও পারবীরহাটা এলাকায় বাস-সহ অন্যান্য যানবাহনে মিছিল করে এসে হামলা করে বাম সমর্থকরা। কয়েকটি বাস, গাড়ি ও টোটো ভাঙচুর করা হয়। টোটো থেকে জোর করে যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়া হয়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। বনধ সমর্থকদের আক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায়নি স্কুলবাসগুলিও। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। জিটি রোডে ঢলদিঘি মোড়ে একটি পেট্রোল পাম্প খোলা থাকায় ভাঙচুর করে বনধ সমর্থকরা। একই ছবি দেখা গিয়েছে ভাতারেও। এখানেও ধর্মঘট সমর্থকরা রাস্তায় যে সব যানবাহন চলাচল করছিল, সেগুলি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। হামলা চালানো হয় চালকদের উপরও। ধর্মঘট সমর্থকদের হামলায় এক লরিচালক আহত হয়েছেন।
এদিকে, বর্ধমান মিউনিসিপ্যাল হাই স্কুলের সামনে পালটা মার খেতে হয়েছে ধর্মঘট সমর্থকদের। স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় অভিভাবকরাই পালটা পেটান বনধ সমর্থকদের। বুধবার সকালে এসএফআই কর্মী সমর্থকরা কয়েকজন শিক্ষককে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন। সেই সময় কয়েকজন অভিভাবক প্রতিবাদ করেন। বনধ সমর্থকদের মেরে সরিয়ে দেন। রাস্তায় ফেলে মার হয় এসএফআইয়ের পূর্ব বর্ধমান জেলা সম্পাদক অনির্বাণ রায়চৌধুরীকে। এসএফআই-এর অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজন হামলা করেছে। তৃণমূলের দাবি, অভিভাবকরাই প্রতিরোধ করেছেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.