রাজা দাস, বালুরঘাট: সীমান্ত পেরিয়ে অবৈধভাবে ভারতে ঢুকে পড়েছিল ভবঘুরে মানসিক ভারসাম্যহীন বছর পঁচিশের যুবক। তাঁকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে দোরে দোরে ঘুরছেন বাংলাদেশ থেকে আসা দিদিমা। গত একমাস ধরে বালুরঘাটে ঘুরতে থাকা দিদিমা রাধাদেবীর অবস্থা করুণ।কাছে টাকা পয়সা আর বড় বেশি বাকি নেই। এখনও তাঁর মানসিক ভারসাম্যহীন নাতির দেখা পাননি রাধাদেবী। তবে, চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের সিরাজগঞ্জ জেলার সালংগা থানার হাটিকুমরুল গ্রামের বাসিন্দা রাধাদেবী (৭০)। তাঁর নাতি স্বপন দাস (২৫) মানসিক ভারসাম্যহীন। ছোটবেলা থেকেই সে মানসিক সমস্যায় ভুগছে বলে দাবি বৃদ্ধা দিদিমার। ভবঘুরে নাতি রাধাদেবীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ত মাঝেমধ্যেই। আবার কিছুদিন পর ফিরে আসত। গত ২০ সেপ্টেম্বর স্বপন বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফেরেননি তিনি। স্বপনের বাবা সুনীল দাস সালংগা থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরে তাঁরা জানতে পারেন ছেলে ঘুরতে ঘুরতে ভারতে ঢুকে পড়েছে।
বাংলাদেশের বাসিন্দা ওই যুবক হিলি সীমান্ত টপকে এপারে ঢুকে পুলিশের হাতে ধরা পড়েছিলেন। বর্তমানে বালুরঘাট জেলা সংশোধনাগারে বন্দি স্বপন। এই খবর জানার পর তাঁর দিদিমা রাধাদেবী পাসপোর্ট করে এদেশে আসেন নাতির সমস্ত নথিপত্র নিয়ে। প্রায় এক মাস ধরে বালুরঘাটে রয়েছেন তিনি। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় ঘুরেও নাতিকে ফিরে পাননি। তবুও আশা ছাড়েননি ওই বৃদ্ধা। মাটি কামড়ে রয়েছেন বালুরঘাটে। বৃদ্ধা দিদিমা জানান, পাসপোর্ট করে বাংলাদেশ থেকে বালুরঘাটে এসেছেন। নাতিকে ফিরে পেতে থানা থেকে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু মামলাটি বিচারাধীন হওয়ায় এখনও মুক্তি পায়নি নাতি। এদিকে একমাস ধরে বালুরঘাটে ঘুরতে ঘুরতে টাকা পয়সাও শেষ। বর্তমানে অসহায় অবস্থা তাঁর। লোকের দয়ায় কোনওরকমে খেয়ে সকলের দোরে দোরে ঘুরছেন। জটিল আইনি প্রক্রিয়া পেরিয়ে নাতিকে দেশে ফেরাতে এখন আদালতই একমাত্র ভরসা বৃদ্ধার।
ছবি- রতন দে
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.