সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: ফের ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগ। এক দম্পতির অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব প্রায় ৬৭ হাজার টাকা। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪পরগনার রায়দিঘির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে। অভিযোগ, একদিনে মোট চার দফায় ওই অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে টাকা। অভিযোগ, ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে কার্যত দায় এড়িয়েছেন তাঁরা। বাধ্য হয়ে অবশেষে পুলিশের দ্বারস্থ ওই দম্পতি।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি থানার নন্দকুমারপুরের বাসিন্দা ধনঞ্জয় গিরি। জানা গিয়েছে, রায়দিঘিতে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে ধনঞ্জয়বাবু ও তাঁর স্ত্রীর একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। মার্চের শেষে ব্যাংকের পাশ বই আপডেট করাতে গিয়েই বিপত্তি শুরু। অভিযোগ, প্রথমে ওই ব্যক্তির পাশবই আপডেট করার ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা যায়। এরপর এটিএমেও টাকা তুলতে পারছিলেন না তিনি। এরপর ব্যাংকে ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার কথাও জানান তিনি। সূত্রের খবর, ব্যাংকের তরফে লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দিতে বলা হয় ধনঞ্জয়বাবুকে। অভিযোগ জমা করার পর, ব্যাংকের বইটি আপডেট করা সম্ভব হয়। আর তখনই চক্ষু চড়কগাছ ধনঞ্জয়বাবুর।
অভিযোগ, বই আপডেট হওয়ার পর দেখা যায়, ৭ ফেব্রুয়ারি মোট চার দফায় ওই দম্পতির অ্যাকাউন্ট থেকে মোট ৬৬৫০০ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, ব্যাঙ্কে নথিভুক্ত মোবাইল নম্বরেও টাকা তোলার কোনও মেসেজ যায়নি। ওই গ্রাহক জানিয়েছেন, একইদিনে এক আত্মীয়কে ৬০০০ টাকা পাঠিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়ার পর ব্যাংকে নথিভুক্ত নম্বরে মেসেজ পেয়েছিলেন। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাঁর থেকে কোনও সদুত্তর মেলেনি বলেই সূত্রের খবর। উলটে দায় এড়িয়ে গেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
বাধ্য হয়ে রায়দিঘি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই দম্পতি। অভিযোগ পেয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত খোয়া যাওয়া টাকার কোনও হদিশ না মেলায় উদ্বিগ্ন ওই পরিবার। একই সঙ্গে এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি প্রশ্ন উঠে আসছে, নিয়মমাফিক একইদিনে এটিএম থেকে ৪০ হাজার টাকার বেশি তোলা যায় না। তবে কিভাবে একইদিনে চারদফায় ৬৭ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হল? ব্যাংকে মোবাইল নম্বর নথিভুক্ত করা সত্ত্বেও কেনই বা গ্রাহকের কাছে মেসেজ এল না? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.