রাহুল চক্রবর্তী: পিএনবিকাণ্ডের পর এখন ব্যাংকে সাধারণ মানুষের টাকা কতটা নিরাপদ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আতঙ্ক এতটাই ছড়িয়েছে, যে কাটোয়ায় পিএনবি শাখা থেকে একদিনে তিন কোটি টাকা তুলে নিয়েছিলেন গ্রাহকরা। আর এবার খোদ শাসকদলের বিধায়কের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব সাড়ে তিন লক্ষ টাকা! কাঁথি উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতির দাবি, সকালে বিধানসভায় ঢোকামাত্রই এসএমএস মারফত জানতে পারেন, স্টেট ব্যাংকের বিধানসভা শাখায় তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই বিধায়ক। গত কয়েকদিনে এত বিপুল পরিমাণ টাকা খরচ করেননি বা কাউকে দেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে বিধায়কের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েবের ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বিধানসভায়।
[রাজ্যসভার পাঁচ আসনে ভোটগ্রহণ শুরু, জয় নিশ্চিত জেনেও সাবধানী তৃণমূল কংগ্রেস]
এ দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সংখ্যা কম নয়। কিন্তু, সবচেয়ে বড় সরকারি ব্যাংক স্টেট অফ ইন্ডিয়া। এ রাজ্যে তো বটেই, দেশের প্রায় সর্বত্রই এসবিআইয়ের শাখা আছে। কলকাতায় বিধানসভা চত্বরেও স্টেট ব্যাংকের একটি শাখা আছে। জানা গিয়েছে, জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর, প্রত্যেকে বিধায়কই ওই শাখায় একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। এমনকী, প্রাক্তন বিধায়কের মধ্যে যাঁরা পেনশন পান, তাঁদেরও স্টেট ব্যাংকের বিধানসভা শাখায় অ্যাকাউন্ট আছে। কিন্তু, রাষ্ট্রায়ত্তের ব্যাংকের এমন একটি হাই প্রোফাইল শাখায় বিধায়কের অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব সাড়ে তিন লক্ষ টাকা! বিষয়টি জানাজানি হতেই বিধায়কদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়।
[উচ্চ মাধ্যমিকের দায়িত্ব থেকে অপসারিত ময়নাগুড়ির প্রধান শিক্ষক]
ঘটনাটি ঠিক কী? পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি। শুক্রবার রাজ্যসভা নির্বাচনে ভোট দেওয়ার অন্য বিধায়কের মতোই সকালে বিধানসভায় এসেছিলেন তিনি। কিন্তু, ভোটের লাইনে আর দাঁড়াতে পারেননি। তড়িঘড়ি বিধানসভা চত্বরে এসবিআই শাখায় ছোটেন তিনি। কেন? বিধায়ক বনশ্রীর মাইতির দাবি, বিধানসভার পৌঁছনোর পর এসএমএস মারফত জানতে পেরেছেন, তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ট্রান্সফার হয়েছে। ওই অ্যাকাউন্টটি এসবিআইয়ের বিধানসভা শাখার। ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিধায়কদের মধ্যে শোরগোল পড়ে যায়। শাসকদলের ওই বিধায়ক জানিয়েছেন, গত তিনদিনে ওই অ্যাকাউন্ট থেকে কোনও টাকা খরচ করেননি তিনি। ব্যাংক ম্যানেজারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিধায়ক।
[দোষী প্রমাণিত হলে শিক্ষারত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি শিক্ষামন্ত্রীর]
কিন্তু, বিধায়কের অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে তিন লক্ষ কীভাবে গায়েব হয়ে গেল? এসবিআইয়ের বিধানসভা শাখার ম্যানেজার জানিয়েছেন, অনেক সময় ভুলবশত গ্রাহকের কাছে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত এসএমএস চলে যায়। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় অবশ্য পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করেননি তৃণমূল বিধায়ক বনশ্রী মাইতি।
[সংকীর্তন শেষে ভোগ খেয়ে অসুস্থ প্রায় ২৫০, আতঙ্ক উদয়নারায়ণপুরে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.