সুব্রত বিশ্বাস ও টিটুন মল্লিক: ঘুমিয়ে পড়েছিলেন চালক। তাই সিগন্যাল দেখতে পাননি। যার জেরেই বাঁকুড়ার (Bankura Rail Accident) ওন্দায় ঘটে গেল বড়সড় দুর্ঘটনা। এমনটাই জানিয়েছেন আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার। ইতিমধ্যে চালককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার দগদগে ঘা এখন ও শুকায়নি। এর মধ্যেই ফের সিগন্যাল উপেক্ষা করে একই ভুল। ওন্দার কাছে দাঁড়িয়ে থাকা একটি মালগাড়িতে পিছন থেকে আসা আরেকটি মালগাড়ি ধাক্কা মারে। ভোর চারটে নাগাদ বাঁকুড়ার ওন্দাতে এই দুর্ঘটনার পর রেলের নিরাপত্তা কোনও তলানিতে সে প্রশ্ন ওঠে এল। সংঘর্ষের জেরে দু’টি মালগাড়িরর ১৩টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। তবে কোনও হতাহতের খবর নেই। দুর্ঘটনার জেরে বন্ধ রয়েছে খড়গপুর-বাঁকুড়া-আদ্রা লাইন।
এই দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে আদ্রা ডিভিশনের ডিআরএম মণীশ কুমার বলেন, “চালকের ভুলেই এই দুর্ঘটনা। মনে হয়, ওঁর চোখ লেগে এসেছিল। ভোর চারটের সময় মাঝেমাঝে ঘুম এসে যায়। তাই হয়তো চালক সিগন্যাল দেখতে পাননি।” তিনি আরও জানিয়েছেন, “সিগন্যাল লাল ছিল। পয়েন্ট লুপ লাইনের দিকে সেট করা ছিল। সেইসময় সেখানে অন্য মালগাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। পিছন থেকে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়িটিতে ধাক্কা মারেন চালক।” দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রার ডিআরএম ও রেলের সিনিয়র ডিভিশনার সেফটি অফিসার দিবাকর মাঝি ঘটনাস্থলে যান। দক্ষিণ পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী জানিয়েছেন, “একটি গাড়ি আগে থেকেই দাঁড়িয়ে ছিল, আর একটি গাড়ি এসে তাতে ধাক্কা মেরেছে।”
বাঁকুড়ার ওন্দার কাছে একটি খালি মালগাড়িকে লুপলাইনে ‘শান্টিং’ করা হচ্ছিল। অর্থাৎ এক লাইন থেকে অন্য লাইনে মালগাড়িটি সরানো হচ্ছিল। সেইসময় সিগন্যাল লালই ছিল। কিন্তু সিগন্যাল না মেনে আদ্রা থেকে খড়গপুরগামী একটি মালগাড়ি এসে ওই পণ্যবাহী ট্রেনটির পিছনে ধাক্কা মারে। যার জেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় মালগাড়িটি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.