টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: টানা দশ ঘণ্টা মুষলধারায় বৃষ্টি। বন্যা পরিস্থিতি বাঁকুড়ায়। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। অন্ধকারে ডুবেছে এলাকা। প্রাণ বাঁচানোর তাগিদেই বাড়িঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বাঁকুড়া শহর লাগোয়া পলাশতলা, রামকৃষ্ণপল্লির বাসিন্দারা। রাতে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি অনেকেই। বলা ভাল, বেশির বাসিন্দারই রাত কেটেছে বাড়ির বাইরে। সুযোগ বুঝে ফাঁকা বাড়িতে হানা দিন চোরের দল। শুধু চুরি করাই নয়, ফ্রিজের শরবতও খেয়েছে দুষ্কৃতীরা!
[ শক্তি বাড়িয়ে আরও গভীর নিম্নচাপ, পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস]
একটা বা দুটি বাড়িতে নয়, মঙ্গলবার রাতে বাঁকুড়ার পলাশতলার বেশির ভাগ বাড়িতেই চুরি ঘটনা ঘটেছে। শহর লাগোয়া এই পঞ্চায়েত এলাকায় থাকেন বৈশালী ভট্টাচার্য। তাঁর স্বামী সোমনাথ ভট্টাচার্য সেনাবাহিনীতে চাকরি করেন। সোমবার সকালে একগলা জলে রীতিমতো কলার ভেলা ভাসিয়ে মেয়ে ও নাতিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান বৈশালীদেবীর বাবা। রাতে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। বাড়ি তালাবন্ধ ছিল। মঙ্গলবার সকালে বাড়ি ফিরে বৈশালীদেবী দেখেন, দরজা ভেঙে একটি হারমোনিয়াম ও লাখ টাকা দামের এলসিডি টিভি নিয়ে চম্পট দিয়েছে চোরের দল। শুধু তাই নয়, ফ্রিজ খুলে শরবতও খেয়েছে তারা!
বাঁকুড়ার পলাশতলায় বৈশালী ভট্টাচার্যের পাশের বাড়িতেই থাকেন অতসী লাহা। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই স্কুলে পড়ান। অতসী লাহা জানিয়েছেন, ‘রবিবার রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় সোমবার সকাল থেকে জলবন্দি হয়ে যাই আমরা। কোনওমতে ছেলে ও স্বামীকে গঙ্গাজলঘাঁটিতে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলাম। মঙ্গলবার প্রতিবেশীরা ফোন করে জানায়, বাড়িতে চুরি হয়ে গিয়েছে।’ একাধিক জানলা ও গ্রিল ভেঙেও অবশ্য বাড়ির ভিতর ঢুকতে পারেনি চোরের দল। অতসী লাহা জানিয়েছেন, ফাঁকা বাড়িতে এক ভরি সোনা ও নগদ দশ হাজার ছিল। কিছুই খোয়া যায়নি। পলাশতলা এলাকার বাড়িগুলি পরিদর্শন করে গিয়েছে বাঁকুড়া সদর থানায় পুলিশ। তবে শুধু পলাশতলাই নয়, শহরের জলমগ্ন আরও বেশ এলাকায় ফাঁকা বাড়িতে চুরি ঘটনা ঘটেছে।
ছবি: সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়
[ রূপনারায়ণের তীরে ইতিহাস আগলাচ্ছেন শরৎচন্দ্রের সেবাইত]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.