দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আরও বিপাকে আরাবুল ইসলাম। তৃণমূল নেতাকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ বারুইপুর আদালতের। এদিন আদালতে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে আরাবুল ইসলামের (Arabul Islam), এমন আবেদন জানিয়েছিলেন তৃণমূল নেতার (TMC Leader) আইনজীবী। কিন্তু সব শুনে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বারুইপুর মহকুমা আদালতের (Baruipur Court) বিচারক।
দেখুন ভিডিও:
এদিন শুনানিপর্বে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত চান সরকার পক্ষের আইনজীবী। আইএসএফ (ISF) কর্মী খুনের ঘটনায় আরাবুলের যুক্ত থাকার পর্যাপ্ত তথ্য প্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। অন্যদিকে আরাবুল ইসলামের আইনজীবীরা আদালতে জানান, আরাবুল এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় এসব করা হচ্ছে। আরাবুল যে অসুস্থ, একথাও বিচারককে জানান তৃণমূল নেতার আইনজীবীরা। ৮ মাসের পুরনো মামলায় হঠাৎ আরাবুলকে গ্রেপ্তার কেন, এবিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁর আইনজীবী। যদিও উভয়পক্ষের সওয়াল জবাব শেষে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বারুইপুর আদালতের বিচারক। ২১ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের সময় অশান্তি, মনোনয়নে বাধা দেওয়া, খুনের চেষ্টা-সহ একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হন আরাবুল ইসলাম। ভাঙড়ের (Bhangar) কাশীপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তৃণমূল নেতাকে। বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা তাঁকে গ্রেপ্তার করে উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। এর পর তৃণমূল নেতাকে লালবাজারে নিয়ে আসা হয়। আরাবুলের গ্রেপ্তারির পরেই ফের অশান্ত হয় ভাঙড়। শুক্রবার সকালে ভাঙড়ের (Bhangar) কোচপুকুর এলাকায় সংঘর্ষ বাধে তৃণমূল এবং আইএসএফের মধ্যে।
এদিকে আরাবুলের গ্রেপ্তারির পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির (Nawshad Siddique) দাবি, ”শুধু আরাবুল নয়, গ্রেপ্তার করা হোক শওকত মোল্লাকেও।” সরব সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তাঁর দাবি, ”আরাবুলের কাজ ফুরিয়েছে বলেই গ্রেপ্তার করানো হয়েছে।” বিজেপির দিলীপ ঘোষও তোপ দেগেছেন শাসকদলকে। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি, ”পুলিশের কাজ পুলিশ করেছে।” প্রশাসন যে রাজধর্ম পালন করছে সেকথাও মনে করিয়ে দেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.