দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: এবার করোনা (Corona Virus) পজিটিভ কুলতলির (Kultali) বিডিও। বৃহস্পতিবার রাতে রিপোর্ট আসার পরই সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামবাসীদের মধ্যে। কারণ, এদিনই আমফানের (Amphan) ক্ষতিপূরণের ফর্ম জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল কুলতলি বিডিও অফিসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নেমেছিলেন বিডিও স্বয়ং। ফলে বহু মানুষের সংস্পর্শে এসেছিলেন তিনি।
জানা গিয়েছে, কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন কুলতলির বিডিও। করোনার উপসর্গও ছিল। সেই কারণেই নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আমফানের ক্ষতিপূরণের ফর্ম জমা নেওয়ার কথা ছিল। স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে খাওয়াদাওয়া না করে আগে সেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্তরা। রোদের তাপে কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা আগে ফর্ম জমা দিতে চান। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আবেদনকারীদের মধ্যে। ভিড়ের চাপে মাটিতে পড়ে যান কয়েকজন মহিলা। তাঁদের উপর দিয়েই চলে যান আরও অনেকে। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। পুলিশ ও বিডিও নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি।
এই ঘটনার দীর্ঘক্ষণ পর বৃহস্পতিবার রাতে হাতে আসে কুলতলির বিডিওর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট। জানা যায়, তিনি আক্রান্ত। মুহূর্তে গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে খবর। এতেই প্রত্যেকের মনে জাঁকিয়ে বসেছে সংক্রমণের আতঙ্ক। কার্যত ঘুম উড়েছে তাঁদের। জানা গিয়েছে, শুক্রবার কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হবে আক্রান্ত বিডিওকে। সেই সঙ্গে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে ২ সাংবাদিককেও। প্রসঙ্গত, রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। শেষ কয়েকদিনে প্রতিদিনই ৬০০-এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। যার ফলে আক্রান্তের সংখ্যা কার্যত ২০ হাজার ছুঁইছুঁই। একইভাবে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে এরাজ্যের ১৬ জনের। রাজ্যে মোট মৃত্যু হয়েছে ৬৯৯ জনের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.