ছবি: উদয়ন গুহরায়।
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: বিদেশে পড়তে গিয়ে প্রাণ গেল রাজ্যের এক পড়ুয়ার। দুর্গাপুরের তরুণী ডক্টরেট করতে গিয়েছিলেন সুইডেনে। গত ১৩ তারিখ মেয়ের মৃত্যুর খবর আসে বাড়িতে। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা পরিবারকে জানানো হয়নি। খবর পাওয়ার পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে, কিন্তু কীভাবে মেয়ের দেহ ফেরত পাবেন মা, তা এখনও জানে না পরিবার। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁদের আবেদন, মেয়ের দেহ মায়ের কাছে ফেরত আনতে পাশে দাঁড়াক রাজ্য সরকার। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করুক তারা।
দুর্গাপুরের ডিপিএলের বাসিন্দা রোশনি দাস। ২০১৮ সালে ইন্টিগ্রেটেড মেডিক্যাল বায়োলজিতে পিএইচডি করতে সুইডেনে গিয়েছিলেন তিনি। উনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করে আগামী বছরই বাড়ি ফেরার কথা তাঁর। রোশনির বাবা ছিলেন ডিপিএলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। ২০১৯ সালে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর। সেই সময় বাড়ি ফিরেছিলেন রোশনি। তার পর থেকে সুইডেনেই বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। সেখান থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় এক সুইডিশ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রোশনির মা মমতা দাস জানিয়েছেন, শেষবার ২৯ সেপ্টেম্বর মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তার পর থেকে তাঁর মোবাইল, ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। ১৩ তারিখ ভবানীভবনের তরফে ইমেল মারফত রোশনির মৃত্যুর খবর জানানো হয় পরিবারকে। পুলিশ সূত্রে খবর, সুইডেন সরকার ভারতীয় তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর খবর ভারতীয় দূতাবাসে জানায়। এর পর ভারতীয় দূতাবাস, বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে লালবাজারে এই খবর জানানো হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে মমতাদেবীর আর্জি, রোশনির দেহ দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করুক। যাতে মেয়ের শেষকৃত্য় করতে পারে পরিবার। একইসঙ্গে যে বা যারা তরুণীর মৃত্য়ুর জন্য় দায়ি, তাদেরও কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। মমতাদেবীর কথায়, “আমি বেঁচে থাকতে যেন দোষীদের শাস্তি পেতে দেখতে পারি।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.