সুব্রত বিশ্বাস: সামুদ্রিক মাছে (Fish) তৃপ্ত হচ্ছেন বাঙালি। বাড়াচ্ছেন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। আর এই মাছের অধিকাংশ যোগান আসছে গুজরাট (Gujrat) থেকে। সামুদ্রিক মাছের বেশির ভাগটাই আসে পোরবন্দর থেকে। বাংলাদেশের ইলিশ রাজ্যে আসায় ভোজন রসিকরা খুশি হলেও অধিকাংশ সময় বাঙালি সমুদ্রের ইলিশ খান। হাওড়া হোলসেল ফিস মার্কেট এসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাসুদ জানিয়েছেন, মাসে প্রায় পাঁচশো টন ইলিশের যোগান আসে পোরবন্দর থেকে। দাম বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম। আর বাংলায় এই মাছ সরবরাহ করে লকডাউনেও লক্ষ্মীলাভ করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)।
লকডাউনে গুজরাত থেকে প্রচুর পরিমান সামুদ্রিক মাছ আসে বাংলায়। পোরবন্দর-শালিমার পার্সেল স্পেশ্যালে ক’মাসে মাছ এসেছে ১৪ লক্ষ ১১ হাজার ১৮০ কেজি মাছ। পশ্চিম রেলের ভাবনগর ডিভিশন এই মাছ সরবরাহ করে। ওই ডিভিশনের সিনিয়ার কমার্শিয়াল ম্যানেজার বিকে টেলর জানিয়েছে্ন, ৯ এপ্রিল থেকে ৭২ ট্রিপ মাল পশ্চিমবঙ্গ গিয়েছে। যার মধ্যে বেশিরভাগ মাছ ও মাছ ধরার জাল, পাঁপড়, রান্নাঘরের সরঞ্জাম। যার মধ্যে শুধু মাছ গিয়েছে চোদ্দো লক্ষ এগারো হাজার কিলো। ৭৮ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে। মাছ ধরার জাল গিয়েছে ১,৩৮,১২০ কিলো। সেখান থেকে রেলের আয় হয়েছে ৭,৫১,২৩৫ টাকা।
পশ্চিম রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক সুমিত ঠাকুরের কথায়, “পশ্চিমবঙ্গে মাছের চাহিদা থাকায় তা রেলে যোগান যাচ্ছে। রাজকোট থেকে মাছ লোডিং হয়। তারপর শালিমারগামী ট্রেনে রওনা দেয়”। হাওড়া মাছ বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদের কথায়, সব রকমের সামুদ্রিক মাছের পাশাপাশি ইলিশের সঙ্গে নূরে ভোলা ও কলকাতা ভেটকির অধিকাংশ যোগান আসে সেখান থেকেই। বাঙালির নানা অনুষ্ঠানে এই ভেটকির চাহিদা খুব।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.