সংগ্রাম সিংহরায়, শিলিগুড়ি: বেশ কয়েকবছর ‘ফেরার’ হয়ে গিয়েছিলেন বিমল গুরুং (Bimal Gurung)। তারপর একদিন আচমকাই কলকাতায় দেখা মেলে তাঁর। বর্তমানে উত্তরের বিভিন্ন প্রান্তে সভা করতেও দেখা গিয়েছে গুরুংকে। পাহাড়ের উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিকে হটাতে আগামী দিনে তৃণমূলের হাত ধরেই হাঁটতে চান মোর্চা নেতা। তবে তাঁর আবার ফিরে আসাকে ভাল চোখে দেখছেন না অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে সাড়ে তিন বছর পর রবিবার দার্জিলিংয়ের মোটরস্ট্যান্ডে সভা করবেন গুরুং। কিন্তু তার আগেই আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতা রাজেশ লাকরা রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁকে।
রাজেশ লাকরা বলেন, “গুরুং যদি সভা করে, তাহলে আগুন জ্বলবে।” সূত্রের খবর, সমস্যা বিরাটাকার নেয় গত শুক্রবার। ওইদিন ডুয়ার্সের ওদলাবাড়িতে একটি সভা করেন গুরুং। তিনি দাবি করেন, সোনম লামা নামে এক ব্যক্তি বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী হতে চলেছেন। ওই সোনম লামা বেশ কয়েকজন শীর্ষ তৃণমূল নেতা ঘনিষ্ঠ বলেও দাবি মোর্চা নেতার। আর তাতেই ক্ষুব্ধ আদিবাসী বিকাশ পরিষদ। নাগরাকাটাতে মোর্চা নেতার পালটা সভা করেন বিকাশ পরিষদের নেতারা। সেই সভাতেই মোর্চা নেতাকে হুঁশিয়ারি রাকেশ লাকরা। শোনা যাচ্ছে, রবিবার আদিবাসী বিকাশ পরিষদের নেতারা একটি সাংবাদিক বৈঠক করতে পারেন। সেই মঞ্চ থেকে গুরুংয়ের বিরুদ্ধে আরও সুর চড়ানোর আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলের।
এদিকে, শনিবারই পাহাড়ে ওঠার মুখে পঞ্চনই দলীয় দপ্তরে বৈঠক করেন বিমল গুরুং। রবিবার শালবাড়ি থেকে পাহাড়ে উঠবেন তিনি। দার্জিলিংয়ের (Darjeeling) মোটরস্ট্যান্ডে হবে সভা। ইতিমধ্যেই সভার প্রস্তুতি প্রায় শেষ। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনও অবনতি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। বর্তমানে জিটিএ থাকায় প্রশাসনিক সমস্ত ক্ষমতা বিনয় তামাং এবং অনীত থাপার করায়াত্ব। তামাং ভালভাবে নিচ্ছেন না গুরুংকে। তাই সাড়ে তিন বছর পর দার্জিলিংয়ের সভায় ঠিক কতটা জনসমর্থন আদায় করতে পারেন বিমল গুরুং, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.