বিদায়বেলায় কাজল শেখকে খোঁচা জেলাশাসকের। নিজস্ব চিত্র।
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিদায় সংবর্ধনাতেও সভাধিপতি- জেলাশাসক বিতর্ক থেকে গেল বীরভূমে। মঙ্গলবার জেলা পরিষিদে সভাধিপতি কাজল শেখ সংবর্ধনার আয়োজন করেছিলেন। সেখানেও সভাধিপতি কাজল শেখকে বার্তা দিয়ে গেলেন জেলাশাসক বিধান রায়। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় সরাসরি সভাধিপতির আসনে বসার কারণে তাঁর পুরো পরিস্থিতিটা বুঝতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে অনুমান জেলাশাসকের।
তিনি জানান, “সভাধিপতি সাহেব ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থায় ছিলেন না। এক্কেবারে সভাধিপতি হিসাবে দায়িত্ব নিয়েছেন। আমরা সাধারণত বলি, একটা অট্টালিকার চারতলা বা পাঁচতলায় পৌঁছাতে গেলে আগে একতলার সিঁড়ি ভেঙে উঠতে হয়। কিন্তু ওঁর কাছে সে অবসর ছিল না। তাহলে তিন-চারতলায় ওঠাটা অনেক সহজ হয়ে যায়।” তবে লোকসভা নির্বাচনের পর ফের জেলায় আসার সম্ভাবনা আছে বিধান রায়ের। তাই বিদায় বেলাতে কিছুটা সতর্ক করেও ফের সামাল দেন পরিস্থিতির। বলেন,”সময় পেলে সভাধিপতি হিসাবে কাজল শেখ আরও পরিপূর্ণ হয়ে উঠবেন।কাজের ক্ষেত্রে হোক সমাজসেবায় উনার চরম ইচ্ছা আছে।”
প্রসঙ্গত, শান্তিনিকেতনে পৌষমেলা নিয়ে বৈঠকে জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বৈঠক ছেড়ে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন কাজল শেখ। এর পর জেলাশাসক ও সভাধিপতির সম্পর্কের সমীকরণ নিয়ে নানান চর্চা ছিল। শুধু তাই নয় কলকাতায় জেলার কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে কাজল শেখকে সেই ঘটনা নিয়ে শাসন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই যাওয়ার আগে প্রশাসক হিসাবে সভাধিপতিকে আরও পরিণত হতে হবে বলে, সেই বিষয়েই জেলাশাসক বার্তা দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে।
জেলাশাসকের এই মন্তব্য প্রসঙ্গে কাজল শেখ বলেন, “উনি একদম ঠিক বলেছেন। আমি পরোক্ষভাবে একাধিক পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত থাকলেও প্রত্যক্ষভাবে কখনওই এই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসাবে ছিলাম না। আর পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি পরিচালনার সঙ্গে জেলা পরিষদ পরিচালনার অনেক তফাৎ। তাই আমি প্রতি মুহূর্তেই নতুন করে শিখছি। আমরা নিজেরাই স্বীকার করি আমরা নবাগত। উনি একদম ঠিক কথাই বলেছেন। আমি ওঁর কাছেও নিয়মিত শিখেছি। আরও শেখার চেষ্টা করব৷ ওনার এই বক্তব্যকে আমি সম্মান করি।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.