ছবি: বাসুদেব ঘোষ
নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিরোধীদের সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য করে বারবারই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন তিনি৷ আর এবার দলেরই নেতাদের নিশানা করলেন শাসকদলের বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর হুমকি, ‘জেলায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনে যদি অশান্তি হয়, তার দায় তো আমি নেব না। অঞ্চল সভাপতিকে জেল খাটাবো। ব্লক সভাপতিকে বরখাস্ত করব।’
[ আধার কার্ড নেই! সরকারি গেরোয় পরিষেবা থেকে বঞ্চিত প্রতিবন্ধী পরিবার]
পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে রাজ্যের প্রায় সর্বত্র অশান্তি চলছে। বৃহস্পতিবারও তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের মাথাভাঙা। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আলো নিভিয়ে গ্রামে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। প্রাণ হারান তৃণমূলকর্মী-সহ তিনজনের। পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে অশান্তি রোখার বার্তা দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূমে ১৬৭টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৬৫টিতেই জিতেছে শাসকদল। কিন্তু, বোর্ড গঠন নিয়ে শাসকদলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে বলে অভিযোগ।এমনকী, খোদ জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশ উপেক্ষা করে দলের পদাধিকারীও ভোটে দাঁড়িয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের অনেকে আবার জিতে গিয়েছেন। তাই দলে নিজের কর্তৃত্ব ধরে রাখতেই কী দলের অঞ্চল ও ব্লক সভাপতিকে হুমকি দিলেন অনুব্রত মণ্ডল? সেই প্রশ্ন উঠেছে।
বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ‘বাড়ির যাঁরা অভিভাবক, তাঁরা যদি শাসন না করে, তাহলে পরিবার বিগড়ে যায়। দলেও যদি নেতাদের শাসন না করা হয়, তাহলে শৃঙ্খলা থাকবে না। জেলায় পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনে যদি অশান্তি হয়, তার দায় তো আমি নেব না। অঞ্চল সভাপতিকে জেল খাটাবো। ব্লক সভাপতিকে বরখাস্ত করব।’ তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের দলে পদটা বড় নয়। যদি সভাপতি নাও থাকি, তাহলেও দল করব।’
[ অভিযোগকারীকেই জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের, শোরগোল রামপুরহাট আদালতে]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.