জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: বিধানসভা ভোটের আগেই বনগাঁকে (Bangaon) সাংগাঠনিক জেলার পুনর্বিন্যাস করেছিল বিজেপি (BJP)। ভোট মেটার পর থেকেই সেই বনগাঁয় শুরু হয়েছে ‘গোষ্ঠীকোন্দল’। সেই অন্তর্কলহে জেরবার গেরুয়া শিবির। এর মাঝেই বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি (Bangao Minority Cell President )পদ থেকে ইস্তফা দিলেন খালেক বিশ্বাস। শনিবার রাতেই দলের জেলা সভাপতির কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন তিনি। ছাড়ছেন দলও।
দলের কাজে ক্ষুব্ধ খালেক অন্য দলে যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। যার জেরে বনগাঁ বিজেপিতে বড়সড় ভাঙনের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। রাজনৈতিক মহল বলছে, খুব শীঘ্রই দলবদলের ঢল নামতে পারে বনগাঁয়। মুকুল রায়ের ফুলবদলের পর থেকেই অবশ্য সেই রাজ্যজুড়ে বিজেপি ছাড়ার হিড়িক পড়েছে।
২০১৯ তৃণমূল কংগ্রেসের ছেরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন খালেক। ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে তাঁকে বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সংখ্যালঘু মোর্চার সভাপতি করে দল। সাম্প্রতিক বিজেপির কাজে ‘ক্ষুব্ধ’ হয়ে সংখ্যালঘু মোর্চার জেলা সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তিনি। শুধু পদ নয়, তিনি বিজেপিও ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে কি অন্য কোনও দলে যোগ দিচ্ছেন খালেক? এই প্রশ্নের জবাবে বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা বলেন, “আমরা রাজনীতির লোক। রাজনীতি হয়তো করব। অন্য কোনও দলে সম্মানীয় জায়গা পেলে ভেবে দেখব। তবে এখনও কিছু ভাবিনি।”
বনগাঁ সংখ্যালঘু মোর্চার বিজেপির সভাপতি ইস্তফা প্রসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কোর্ডিনেটর গোপাল শেঠ জানিয়েছেন, “এটা নতুন কিছু নয়। সারা রাজ্যজুড়ে বিজেপিতে আর কেউ থাকতে চাইছে না। কিছু লোক নিজেদের স্বার্থে বিজেপিতে গিয়েছিল। বিজেপি আর এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে না বুঝে তাঁরা দলে থাকতে চাইছে না। বিজেপিতে আর কেউ থাকবে না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.