ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: কোচবিহারের মাথাভাঙায় বিজেপির সংখ্যালঘু মহিলা সদস্যকে নগ্ন করে মারধরের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গড়ল রাজ্য নেতৃত্ব। শুক্রবার সাত সদস্যের নাম ঘোষণা করে লিখিত বিবৃতি দিলেন দলের রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই সদস্যরা শনিবার মাথাভাঙায় গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করবেন। নেতৃত্বে থাকবেন মহিলা মোর্চা সম্পাদক তথা বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। ঘটনা প্রসঙ্গে খুঁটিনাটি জেনে এই প্রতিনিধি দল একটি রিপোর্ট দেবে রাজ্য নেতৃত্বকে। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সংখ্যালঘু কমিশন ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের আবেদন করা হয়েছে চিঠিতে।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার। মাথাভাঙার (Mathabhanga) ঘোকসাডাঙা এলাকার এক মুসলিম মহিলা, বিজেপি (BJP) মহিলা মোর্চার সক্রিয় সদস্য মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের (TMC) মহিলা কর্মীরা তাঁকে ঘিরে ধরার পর নগ্ন করে মারধর চলে বলে অভিযোগ। তাঁর শাড়ি খুলে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে ওই অবস্থায় প্রায় এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বিজেপির অভিযোগ, এনিয়ে নির্যাতিতা যখন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে যান, প্রথম FIR নিতে অস্বীকার করে। পরে চাপের মুখে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি জেলা পুলিশের।
কোচবিহারের (Cooch Behar) এই ঘটনা বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার তৎক্ষণাৎ সাত সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছেন। অগ্নিমিত্রা পল, ফাল্গুণী পাত্র, শিখা চট্টোপাধ্যায়, মালতী রাভা রায়, শশী অগ্নিহোত্রী, মাফুজা খাতুন ও জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত রায় – এই কয়েকজন শনিবার যাবেন কোচবিহারের মাথাভাঙায়। সেখানে ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে কথা বলে ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল, তা বিশদে জানতে চাইবেন তাঁরা। এর পর একটি রিপোর্ট পেশ করবেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.