ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: বীরভূমের লাভপুর অপহরণ কাণ্ডের কিনারা। তিনদিন পর স্থানীয় বিজেপি নেতার মেয়েকে উদ্ধার করল পুলিশ। শোনা যাচ্ছে, রবিবার সকালে মালদহে খোঁজ মেলে তাঁর। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর। তবে কেন বিজেপি নেতার মেয়েকে অপহরণ করা হল, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশ।
[ অপহৃত বিজেপি নেতার মেয়ে, জনরোষের মুখে লাভপুরের ‘ত্রাস’ মণিরুল ইসলাম]
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। সেদিন সন্ধ্যায় লাভপুরে স্থানীয় বিজেপি নেতা সুপ্রভাত বটব্যালের বাড়িতে ঢুকে পড়ে জনা কয়েক দুষ্কৃতী। একেবারে ফিল্মি কায়দায় সুপ্রভাতবাবুর মেয়ে প্রথমাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে চলে যায় তারা। তারপর থেকে ওই তরুণীর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না। টানা দু’দিন ধরে প্রথমার খোঁজ না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লাভপুরের বিভিন্ন জায়গায় চলে পথ অবরোধ-বিক্ষোভ। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়ে পড়ে কীর্ণাহার, ইন্দাসেও। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যে জনতার রোষের মুখে পড়েন খোদ লাভপুরের বিধায়ক মণিরুল ইসলাম।
শনিবার দুপুরে ইন্দাস থেকে লাভপুরে নিজের গ্রামে ফিরছিলেন বিধায়ক। মাঝ রাস্তায় তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গাড়িতে ভাঙচুর চলে, বিধায়ক মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে স্লোগানও দেন বিক্ষোভকারীরা। কোনওমতে তখনকার মতো পরিস্থিতি সামলে দেন বিধায়কের দেহরক্ষীরা। বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় লাভপুর থানার পুলিশ। ক্ষুদ্ধ জনতার হাত থেকে বিধায়ক ও তাঁর ছেলেকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ভরসন্ধেয় বাড়িতে ঢুকে এলাকার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেল দুষ্কতীরা। অথচ তাঁকে উদ্ধারের কোনও চেষ্টাই করছে না প্রশাসন। শুধু তাই নয়, কার বা কাদের মদতে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিক্ষোভকারীরা। শেষপর্যন্ত ঘটনার তিনদিন পর লাভপুরের বিজেপি নেতার সুপ্রভাত বটব্যালের মেয়ে প্রথমাকে উদ্ধার করল পুলিশ।
[চোখে সংসার গড়ার স্বপ্ন, হাতে হাত রেখে ঘর ছাড়লেন দুই বান্ধবী
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.