ব্রতীন দাস: উত্তরের উত্তাপ মঙ্গলবার একটু বেশিই ছিল। একদিকে কোচবিহারে দুর্গ আগলানোর আপ্রাণ চেষ্টায় ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে, নকশাল বাড়িতে রাজনৈতিক ময়দানের জন্য ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
[২০ বছর পর পাকিস্তানে খুলছে বন্ধ শিব মন্দির, নির্দেশ আদালতের]
মা-মাটি-মানুষের রাজ্যে প্রচারের শুরুটা মাটির কাছাকাছি থেকেই করলেন অমিত শাহ। সোজা পৌঁছে গেলেন নকশালবাড়ির কোটিয়াজোতে। টিনের চালের ঘরে বিজেপি শীর্ষ নেতার অপেক্ষাতেই ছিলেন রাজু মাহালি ও গীতা মাহালি। কথা আগে থেকেই দেওয়া ছিল অমিতজি এসে খাবেন। সেই মতো কাঠের উনুনে রান্না করা হয়েছিল ভাত, ডাল, রুটি, পাঁপড় ভাজা, পটল ভাজা ও বরবটি ভাজা। কলাপাতায় পরিবেশন করা হয়েছিল সব। মাটিতে পাত পেড়ে বসে তাই খেলেন অমিত শাহ। শেষ পাতে ছিল মিষ্টি ও দই। সবই চেখে দেখলেন অমিত শাহ। পাশে ছিলেন দিলীপ ঘোষও।
[‘পাঁচ নকশালকে খতম করেছে আমার ছেলে, ওর জন্য গর্বিত’]
খাবার পর্ব সেরেই ৯৩ নম্বর বুথে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান স্বাধনা মণ্ডল বাড়ির সামনে চাঁদোয়া টাঙিয়ে বুথ চলো অভিযানের সূচনা করেন শাহ। বিকেলে শিলিগুড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা তাঁর। সেখানে বৈঠক করবেন বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে। রাতে শিলিগুড়িতেই দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নৈশভোজ সারবেন তিনি। তারপরই নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে উঠবেন পদাতিক এক্সপ্রেসে। বুধবার সকালে শহরে এসে পৌঁছনোর কথা তাঁর।
[বাংলাদেশ জুড়ে জঙ্গিদমন অভিযান, রাজশাহীতে ডেরার সন্ধান]
প্রসঙ্গত, এবছরই নকশালবাড়ি আন্দোলনের ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। শোনা যাচ্ছে সেই আবেগের কথা মাথায় রেখেই একদা বামঘাঁটি ঐতিহাসিক নকশালবাড়ি থেকে রাজ্য সফর শুরু করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতা। কলকাতায় এসেও তিনি থাকবেন দক্ষিণ কলকাতায়। সফরসূচির বেশিরভাগটাই এবার নাকি তৃণমূলের শক্তঘাঁটিগুলি মাথায় রেখেই করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
[৫০ কেজি কাজু-বরফি বিলিয়ে ডিভোর্স সেলিব্রেট করলেন এই ব্যক্তি]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.