রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে সরব বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তৃণমূলের দিকে নিশানা করে দিলীপ বলেন, “রাজ্য সরকার হিংসাকেই নীতি হিসাবে মেনে নিয়েছে। পুলিশ এখানে নির্বিকার। বিরোধীদের উপর লাগাতার আক্রমণ করে শেষ করার চেষ্টা হচ্ছে। এর ফলে সারা সমাজ ভয়ের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। প্রতিহিংসার পরিবেশ তৈরি হচ্ছে।” দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপির মহিলা কর্মীর উপর হামলার ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সোমবার এভাবেই সরব হয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
একই ইস্যুতে সরব হয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় (Kailash Vijayvargiya)। টুইটে রাজ্য সরকারকে তোপ দাহেন তিনি। বিষ্ণুপুরে বিজেপি মহিলা মোর্চার কোষাধ্যক্ষ তৃণমূলের বর্বরোচিত হামলার শিকার বলেও তোপ দাগেন তিনি।
তৃণমূলের বর্বরোচিত হামলার শিকার বিজেপি সদস্যা। অভিষেক ব্যানার্জির লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের, বিষ্ণুপুরের মহিলা মোর্চার কোষাধ্যক্ষ শ্রীমতি রাধারানী নস্করের মাথায় গুলি চালায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। তাঁর অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। মানুষ এই নৃশংস হিংসার জবাব দেবে। pic.twitter.com/d0XvR6CB6s
— Kailash Vijayvargiya (@KailashOnline) September 7, 2020
সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) এই ঘটনার নিন্দায় সরব। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী নারীকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বলেই সুর চড়ান বিজেপি নেত্রী।
এদিকে, লকডাউন নিয়ে রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা (Rahul Sinha)। লকডাউনকে সরকারের ডাকা বনধ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। রাহুলবাবু আরও বলেন, “সারা দেশে যখন সব কিছু খুলে যাচ্ছে। কন্টেনমেন্ট জোন ছাড়া কোথাও লকডাউন হচ্ছে না। সেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরীক্ষার্থীদের কষ্ট দিতে ও চিন্তা বাড়াতে লকডাউন ডেকেছে।” রাজ্য সরকারের কাছে রাহুল সিনহার আবেদন, ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর লকডাউন প্রত্যাহার করা হোক। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই ও দেশের অর্থনীতি চাঙ্গায় বাংলা যাতে অগ্রণী ভূমিকা নেয় সেটা দেখতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.