বিপ্লবচন্দ্র দত্ত, কৃষ্ণনগর: ভোটের ফলপ্রকাশের পরেও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অব্যাহত অশান্তি। বিজেপি কর্মীকে লোহার রড দিয়ে মারধরের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার নবদ্বীপ পুরসভা এলাকায়। অন্যদিকে, একই এলাকায় এবিভিপির সদস্যদের তৃণমূলে যোগ দিতে বলার পাশাপাশি, তাঁদের মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিরুদ্ধে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্তরা।
জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে নবদ্বীপ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা, বিজেপি কর্মী কালু ঘোষ বাজার সেরে ফিরছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় দু’জন তৃণমূল কর্মী তাঁর উপর চড়াও হয়। রাস্তায় বেধড়ক মারধর করা হয় কালুকে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে প্রতাপনগর হাসপাতালে ভরতি করেন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই বিজেপি কর্মী।
অন্যদিকে, এবিভিপি ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যদের মধ্যে অশান্তির জেরে উত্তপ্ত নবদ্বীপ। এবিভিপির সভাপতি শুভঙ্কর হালদারের অভিযোগ, “শুক্রবার কলেজে ঢুকে এবিভিপির সদস্যদের সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করেন টিএমসিপির সদস্যরা।” অভিযোগ, জোরপূর্বক এবিভিপি কর্মীদের তৃণমূলে যোগ দিতে বলে তাঁরা। এরই প্রতিবাদ জানায় এবিভিপির সদস্যরা। এতেই বচসায় জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। অভিযোগ, এরপরই এবিভিপি সদস্যদের উপর চড়াও হয় টিএমসিপির সদস্যরা। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের সামনেই বেধড়ক মারধর করা হয় এবিভিপির সদস্যদের। আহত হন বেশ কয়েকজন পড়ুয়া। গুরুতর আহত অবস্থায় বিশ্বজিৎ রায় নামে এক এবিভিপি সমর্থক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনার প্রতিবাদেই শুক্রবার রাতেই থানায় বিক্ষোভ দেখান এবিভিপির সদস্যরা। যদিও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নবদ্বীপের চেয়ারম্যান সুজিতকুমার সাহার দাবি, বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন। তাঁর পালটা অভিযোগ, বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এদিন তৃণমূলের কর্মীদের ব্যাপকভাবে মারধর করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.