টিটুন মল্লিক, বাঁকু়ড়া: ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্ত থেকে অশান্তির খবর প্রকাশ্যে এসেছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শাসকদলের কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির কর্মীদের বিরুদ্ধে। কোথাও আবার তৃণমূল কর্মীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে বিজেপির কর্মী, সমর্থকরা। ভোটগণনা শুরুর পর থেকেই একই ছবি প্রকাশ্যে এসেছে বাঁকুড়ার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। ওই দিনই রাজনৈতিক সংঘর্ষে আহত হন এক বিজেপি কর্মী। তাঁর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপি ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে বাঁকুড়ার পুরাগ্রাম। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ফলপ্রকাশের পরই বিষ্ণুপুর লোকসভার অন্তর্গত হেতিয়া অঞ্চলের বিরামপুরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিজেপি ও তৃণমূলের কর্মী, সমর্থকরা। সেই সময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হন তন্ময় সাঁতরা নামে এক বিজেপি কর্মী। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তন্ময়বাবু। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির। খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবার ও স্থানীয় বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিষ্ণুপুরের পুরাগ্রাম চত্বরে।
পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় জয়পুর থানার পুলিশ। এরপর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় আন্দোলনকারীরা। বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর বিষয়ে জয়পুর এক নম্বরের মণ্ডল সভাপতি স্বপন নন্দীর অভিযোগ, এই ঘটনায় জন্য দায়ী তৃণমূল। তিনি বলেন, “তৃণমূল আশ্রিত গুণ্ডাবাহিনী আক্রমণ করেছিল তন্ময়কে।” তাঁদের দাবি, দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে হবে। যদিও বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার পর্যাপ্ত তদন্ত হবে। অভিযুক্তরা শাস্তি পাবে। নতুন করে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় সেই কারণে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.