দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বিজেপি কর্মী, তাঁর স্ত্রী এবং ছেলেকে কোপানোর অভিযোগ। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে বলেই অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোনারপুরের চৌহাটি এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা। জখম তিনজনকে প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। যদিও রাজ্যের শাসক শিবির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
জখম গোবিন্দ অধিকারী, সোনারপুরের চৌহাটির সক্রিয় বিজেপি কর্মী হিসাবেই পরিচিত। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির পোলিং এজেন্টও ছিলেন তিনি। অভিযোগ, শনিবার ভোরবেলা বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়। বিজেপি কর্মী, তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয় বলেই অভিযোগ। বাড়িতে সেই সময় গোবিন্দবাবুর মেয়েও ছিলেন। তবে দুষ্কৃতীরা তাঁর উপর হামলা চালায়নি। ওই দুষ্কৃতীরা তৃণমূলের মদতে হামলা চালিয়েছে বলেই অভিযোগ। জখমদের গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে এম আর বাঙুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
এই হামলার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দিনকয়েক আগে একটি কুকুরের মৃত্যু হয়। তা নিয়ে প্রতিবেশী সুভাষ দেবনাথের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন ওই বিজেপি কর্মী এবং তাঁর পরিবারের লোকজন। দুই পরিবারের বিবাদই চরম আকার নেয়। সে কারণে ওই প্রতিবেশীই গোবিন্দবাবুর উপর হামলা চালায় বলেই দাবি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় বিজেপি নেতার দাবি, “ভোটের মাসখানেক আগে কুকুর মৃত্যু নিয়ে অশান্তি তৈরি হয়। তাকে কেন্দ্র করে গোবিন্দকে সেই সময় দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। বহিরাগত কয়েকজনও ওকে হুমকি দিয়েছিল। ওরাই সুযোগ পেয়ে মারধর করেছে।” যদিও তৃণমূল নেতার দাবি, কুকুরের মৃত্যু নিয়ে ব্যক্তিগত বিবাদকে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজনীতির রং লাগানো হচ্ছে। সোনারপুর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নেমেছে। দুজনকে ইতিমধ্যে আটক করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.