নিজস্ব চিত্র
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: কৃষ্ণনগরের রানিমা অমৃতা রায় সদ্যই যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তিনিই প্রার্থী (West Bengal Lok Sabha Election 2024) হতে পারেন বলেই শোনা যাচ্ছে। আর সেই চর্চার মাঝে কৃষ্ণনগরে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে তুঙ্গে গোষ্ঠীকোন্দল। সোশাল মিডিয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছে বিজেপির একাংশ। যদিও এটাকে বিজেপির অন্তর্কলহ বলে মানতে নারাজ খোদ বিজেপি নেতারাই। তাঁরা বিষয়টিতে নজর রাখছে বলেই জানান।
বিজেপি কর্মীদের একাংশ সোশাল মিডিয়া পোস্ট করে জানান, “কৃষ্ণনগরের রানিমা অমৃতা রায়ের কৃষ্ণনগরের সমাজে অবদান কী? উনি যদি ভোটে হারেন তবে কী লোডশেডিং বিধায়ক দায় নেবেন?” আবার কোনও পোষ্টে লেখা রয়েছে, “পয়সা নিয়ে অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে ভোটের প্রার্থী করা হচ্ছে কেন, সাধারণ মানুষ তার জবাব চায়।” একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে লেখা হয়েছে, “কৃষ্ণনগর রাজবাড়ির রানিমা অমৃতা রায় তৃণমূল কংগ্রেসের লোক। বিশেষত তিনি মহুয়া মৈত্র ‘ঘনিষ্ঠ’। এই রাজ পরিবারের কৃষ্ণনগরে কোনও সামাজিক অবদান নেই। এমনকি বারো দোল মেলাতে অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আর্থিক প্রতারণা করা হয়েছে বলেও দাবি।
যদিও গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে নারাজ বিজেপি। এই নিয়ে নদীয়া জেলা উত্তরের বিজেপির সাংগঠনিক সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, “কোনও বিজেপি কর্মী এই ধরনের পোষ্ট করবেন না। বিজেপি সেজে তৃণমূল সমর্থকরা পোস্ট করছেন। তাঁদের প্রতিটা কাজ জেলা নেতৃত্ব যেমন লক্ষ্য করছে। তেমন রাজ্য নেতৃত্ব লক্ষ্য রাখছে। আমাদের দলে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। আমরা সবাই মোদি পরিবারের সদস্য।”
সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া কৃষ্ণনগরের রানিমা অমৃতা রায়ও এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, “কেউ যদি কিছু বলেন সে তাদের ব্যাপার। আমাদের অবদান আছে কি না তা সকলেই জানেন। বিজেপিতে যোগদান করেছি তার মানে এই নয় আমি প্রার্থী হয়ে গিয়েছি। যদি নাম ঘোষণা হত তবে কেউ মন্তব্য করতে পারত। এক শ্রেণির মানুষ এই সমস্ত কথা বলে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। এছাড়া আর কিছুই না। বিভ্রান্তিমূলক কথাবার্তা নিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.