ধীমান রায়, কাটোয়া: আইসক্রিম কারখানার গ্যাসভর্তি পাইপ ফেটে মৃত্যু হল এক কারখানার মালিকের। গুরুতর জখম তাঁর ছেলে-সহ দু’জন। বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে৷ ঘটনায় আতঙ্ক এলাকায়৷
মৃত বছর ষাটের সুনীল মণ্ডল, বাড়ি বীরভূমের লাভপুর থানার দাসকল গ্রামে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন সুনীলবাবুর ছেলে সুশান্ত মণ্ডল এবং তপন লাহা নামে এক কর্মচারী৷ তাঁদের প্রথমে কাঁদরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে পাঠানো হয় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে। অবস্থা গুরুতর বুঝে দু’জনকেই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের ফুটিসাঁকো বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি আইসক্রিম কারখানা রয়েছে সুনীলবাবুদের। কারখানায় তাঁর ছেলে সুশান্তও থাকতেন। কেতুগ্রামের ব্রাহ্মণডিহি গ্রামের বাসিন্দা তপন লাহা এই কারখানায় কাজ করতেন। জানা গিয়েছে, এদিন বরফ জমানোর কাজ করার সময় আইসক্রিম কারখানার গ্যাসের সিলিন্ডারটি ফেটে যায়। জানা গিয়েছে, আইসক্রিম কারখানায় সাধারণত বরফ জমাতে ‘ম্যাফরন আর ২২’ বা ‘আর ১২’ গ্যাস ব্যবহার করা হয়। তাপমাত্রা কমাতে ও চাপ বাড়াতে এই গ্যাস ব্যবহার করা হয়। পেঁচানো পাইপের ভিতর থাকে ওই গ্যাস। পাইপটি সচরাচর তামা বা লোহার তৈরি। প্রায় দু থেকে আড়াইশো ফুট দৈঘ্যের হয়। মেশিন চালুর সময় গ্যাসভরতি পাইপ প্রচুর উত্তপ্ত হয়ে যায়। তাই সবসময় তার ওপরে জলের ধারা চালু রাখা হয়। কোনও কারণে পাইপে লিক হয়ে গেলে তাতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ হতে পারে।
এদিন ওই গ্যাসের পেঁচানো পাইপ সজোরে ফেটে যায়। তখন তিনজন কাজ করছিলেন। সুনীলবাবু ঘটনাস্থলেই মারা যান। আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে ফুটিসাঁকো বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায়৷
ছবি: জয়ন্ত দাস।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.