দেবাদৃতা মণ্ডল, হুগলি: ফের বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুট মিল। প্রায় ১১ মাস বন্ধ থাকার পর লোকসভা নির্বাচনের মুখে খুলেছিল মিলটি। হাতে গোনা কয়েকদিন পরে ফের একই পরিস্থিতি। অভিযোগ, মিল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বাড়িতে হামলা চালায় কারখানার শ্রমিকেরা। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ।
হুগলি নদীর দুই পাড়ে একে পর এক জুটমিল। কিছুটা এলাকা উত্তর চব্বিশ পরগনায় আর বাকিটা হুগলি জেলায়। তবে এই গোটা এলাকাটি শিল্পাঞ্চল বলেই পরিচিত। জুটমিলগুলির অবস্থা কিন্তু ভাল নয়। আয় কমেছে অনেকটাই। লোকসান ঠেকাতে মাঝেমধ্যে মিল বন্ধ করে দেন মালিকপক্ষ। বিপাকে পড়েন শ্রমিকরা। ঠিক এমনই অবস্থা চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলের। লোকসান এড়াতে মাঝে মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মিলটি। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর লোকসভা ভোটের মুখেই খুলেছিল মিলটি। কয়েকদিন স্বাভাবিক কাজকর্ম চললেও, ভোট মিটতেই বুধবার ফের বন্ধ করে দেওয়া হল গোন্দলপাড়া জুটমিল। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে শ্রমিকেরা কাজে গিয়ে দেখেন গেটে কারখানা সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিস ঝুলছে। ফের কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় সাড়ে হাজার শ্রমিক। কাজ হারিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন চন্দননগরের গোন্দলপাড়া জুটমিলের শ্রমিকেরা।
শ্রমিকদের রোষের মুখে পড়েন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, কারখানার গেট বন্ধ দেখেই এলাকার বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতার বাড়িতে চড়াও হন তাঁরা। রীতিমতো মাধধর করা হয় তাঁদের। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে যায় চন্দনগর কমিশনারেটের পুলিশ। সূত্রের খবর, এখনও থমথমে এলাকা। তবে ফের যাতে উত্তেজনা না ছড়াতে পারে সেই কারণে ওই এলাকায় বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী প্রদীপ সাহা বলেন, “আমি আগেই সকলকে বলেছিলাম ভোট বাড়াতেই মিল খুলছে শাসকদব। ভোট মিটলেই বন্ধ করে দেবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.