দিব্যেন্দু মজুমদার, হুগলি: অঙ্গনওয়ারি স্কুল চলাকালীন স্কুলের ভিতর থেকে নীল ছবির সিডি উদ্ধার। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তারকেশ্বরে। ঘটনার জেরে এদিন তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যান স্কুলে পৌঁছালে তাকে ঘিরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, তারকেশ্বর পুরসভার পাঁচ নং ওয়ার্ডে একটি বাড়ির দোতলায় দীর্ঘদিন ধরে একটি অঙ্গনওয়ারি স্কুল চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎই স্কুলের অফিসে খোঁজখবর নিতে সোজা হাজির হন পুরপ্রধান স্বপন সামন্ত। কিছু কাগজপত্র দেখার সময় হঠাৎই বেরিয়ে পড়ে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। অফিসের কাগজপত্রের মধ্য থেকেই বেরিয়ে পড়ে নীল ছবির সিডি। ঘটনার কথা দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়লেই এলাকার মানুষ ওই অঙ্গনওয়ারি কেন্দ্রে জড়ো হয়ে চেয়ারম্যানকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি কর্মীরাও।
পরিস্থিতি চরম পর্যায়ে পৌঁছালে খবর পেয়ে তারকেশ্বর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় আরামবাগ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক জগন্নাথ দাস জানান, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে একটা অঙ্গনওয়ারি স্কুলে নীল ছবির ক্যাসেটের রমরমা ব্যবসা চলছে। তার অভিযোগ এই নীল ছবির সঙ্গে তৃণমূল নেতারা জড়িত এবং এতে তারকেশ্বর পুরসভার চেয়ারম্যানের মদত আছে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, একটা অফিসকে দখল করে শাসক দলের নেতা-কর্মীরা তাদের দলের কাজকর্ম করত। এ নিয়ে তারা বারবার অভিযোগ জানানোর পরও প্রশাসন উদাসীন।
এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত জানান, বিজেপিরাই নীল ছবির সিডি ঢুকিয়ে দিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। তৃণমূলকে কলঙ্কিত করার জন্যই এই ধরণের কাজ করছে বিজেপি। অফিস দখল করে দলীয় কাজকর্ম করার অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি জানান, বিজেপিই ওই স্কুলে তাদের বোর্ড ও দলীয় পতাকা লাগিয়ে রেখেছে। তবে সাধারণ মানুষের মনে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, যে স্কুল থেকে নীল ছবির সিডি উদ্ধার হয় সেখানে কোন ভরসায় তাদের ছেলেমেয়েকে পাঠাবেন? এলাকাবাসীর দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা পুলিশ তদন্ত করে বের করুক। দোষীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.