অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: ডোমকলে ভৈরব নদে নৌকাডুবির ঘটনায় শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনও মৃতদেহ উদ্ধার হয়নি। ডুবে যাওয়া নৌকারও হদিশ পায়নি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। জোরকদমে চলছে তল্লাশির কাজ। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত জানা গিয়েছিল, মধ্য গরিবপুরের পারঘাটায় ভৈরব নদে যাত্রীবাহী নৌকা ডুবে মোট বারো জন নিখোঁজ হন। কিন্তু শুক্রবার সকালে জানা যায় ওই নৌকাডুবির ঘটনায় এখন নিখোঁজের সংখ্যা তিন। এর মধ্যে দু’টি শিশু ও একজন মহিলা রয়েছেন।
ঘটনার পর গতকাল রাতেই নৌকার অধিকাংশ যাত্রী নিজেরাই সাঁতরে পাড়ে উঠে আসেন বলে জানা গিয়েছে। মূলত বেশি পরিমাণে যাত্রী নৌকায় উঠে পড়াতেই ঘটেছে দুর্ঘটনা। মুর্শিদাবাদের এসপি শ্রী মুকেশ জানান “ঘটনায় তিন জন নিখোঁজের খবর পাওয়া গিয়েছে। বাকি যাত্রীরা বৃহস্পতিবার রাতেই সাঁতরে পাড়ে উঠে পড়েন।”
[মধ্যরাতে দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব, চেয়ারম্যানকে লক্ষ্য করে গুলি-বোমা চাকদহে]
এদিকে ডোমকল মহকুমা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নৌকাডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের মধ্যে ৯ জন ডোমকল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এই ঘটনায় বেশ কয়েকটি মোটরবাইক, সাইকেলও নৌকার সঙ্গে তলিয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত নৌকাটির যাত্রীরা জানান, অতিরিক্ত যাত্রী ওঠার কারণেই নৌকা উল্টে যায়। ভিড়ের চাপে নৌকায় উঠতে না পারা এক যাত্রী হাসিনা বানু বলেন, “নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী উঠেছিল। মাঝি বারবার নিষেধ করলেও কেউ শোনেনি। কারণ সন্ধ্যা হয়ে আসছিল। সকলেরই বাড়ি যাওয়ার তাড়া ছিল।” আপনি ওঠেননি কেন? উত্তরে ওই মহিলা জানান, “উঠতে গিয়েছিলাম। কিন্তু জায়গা পাইনি। কিছুদূর যেতেই দেখলাম নৌকাটা ডুবে গেল। তারস্বরে সবাই চিৎকার করছিল নৌকা ডুবে গেল বলে। এরই মধ্যে কিছু কিছু লোক সাঁতার দিয়ে পাড়ে উঠে আসেন।” এদিকে শুক্রবার সকাল থেকেই মধ্য গরিবপুরের পাড়ঘাটায় ভৈরব নদীতে উদ্ধারকাজ দেখতে স্থানীয় মানুষজনের ভিড় উপচে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মধ্য গরিবপুর ঘাট থেকে নৌকাটি যাত্রীদের নিয়ে নদীর ওপারে উত্তর গরিবপুরে যাচ্ছিল। সেই সময় অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নৌকা তলিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের অনুমান, নৌকায় ষাট জনের মতো যাত্রী ছিলেন, এছাড়া মোট ১৩টি মোটরবাইক ও সাইকেল ছিল। ফলে যাত্রী শুধু নয়, বাইক ও সাইকেলের চাপেও ঘটে দুর্ঘটনা।
[হেরিটেজ আর্ট গ্যালারি হবে ডুরান্ড হল, পর্যটন কেন্দ্রের ভাবনা রেলের]
ডোমকল থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঠিক কী কারণে ওই দুর্ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়াতে বর্ষার আগেই পুলিশ অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার ব্যাপারে খেয়াঘাটে নির্দেশ জারি করেছিল। ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান জানান, পু্লিশি নির্দেশের পরেও কেন অতিরিক্ত যাত্রী তুলেছিল নৌকাটি সে বিষয়ে তদন্ত হবে৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.