রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন দু’জন পর্যটক। সোমবার সকালে সমুদ্রতট থেকে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। একজন ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। আর একজনের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার নোয়াপাড়ায়। ঘটনার তদন্তে দিঘা থানার পুলিশ।
[ প্রেমিকের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপোড়েন, ভিডিও চ্যাট চলাকালীন আত্মঘাতী স্কুল ছাত্রী ]
দূরত্ব খুব বেশি নয়। খরচও সাধ্যের মধ্যে। সপ্তাহান্তের ছুটিতে আমবাঙালির পছন্দের ডেস্টিনেশন দিঘা। আবার ভিন রাজ্য থেকে অনেক পর্যটক আসেন পূর্ব মেদিনীপুরের এই সৈকতশহরে। দিঘায় সবসময়ই পর্যটকদের ভিড়। কিন্তু, সমুদ্রে স্নানের সময়ে কখনও অসাবধনতাবশত আবার কখনও অতিরিক্ত অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন পর্যটকরা। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের সতর্ক করতে প্রশাসনের তরফে অবশ্য প্রচারে কোনও খামতি নেই। কিন্তু, পর্যটকরা কি আদৌ সচেতন হচ্ছেন? সোমবার সকালে দিঘার সমুদ্র সৈকতে দু’জন পর্যটকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করেছে দিঘা মোহনা থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতেরা হলেন সোনু চৌধুরী ও অঙ্কিত আগরওয়াল। বছর আঠেরোর সোনুর বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনার নোয়াপাড়ায়। আর অঙ্কিত ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। রবিবার দুপুরে সমুদ্রে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিলেন দু’জনেই। সোনু চৌধুরীর নামে দিঘা মোহনা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছিলেন তাঁর পরিবারের লোকেরা।
[এইচআইভি পজিটিভ, মাধ্যমিক পাস করেও লেখাপড়া ছাড়ার পথে পাঁচ পড়ুয়া]
কয়েক মাসে আগেই দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে স্পিডবোটের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছিল ২ জন পর্যটক। দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন, একদল পর্যটক স্নান করতে নেমেছিলেন নিউ দিঘা বিচে। দু’জনে সমুদ্রের কিছুটা গভীরে চলে গিয়েছিলেন। আমচকাই এক স্পিডবোটের সামনে পড়ে যান তিনি। পুলিশের দাবি, সমুদ্রের যে অংশ নিয়ে স্পিডবোট চলে, সেই অংশে সাধারণভাবে পর্যটকদের যাওয়ার কথা নয়। কিন্তু, নিয়ম না মেনেই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ওই দুই পর্যটক।
[উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম গ্রন্থনই এবার শিলিগুড়ি পুরনিগমের দূষণ নিয়ন্ত্রণেপ্রচারের ‘মুখ’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.