ছবি: প্রতীকী
দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: বাড়ি থেকে দম্পতির দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানায় খেয়াদহে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। ইতিমধ্যেই দেহদুটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের বাসিন্দা শংকর বিশ্বাস ও গীতারানি বিশ্বাস। তাঁদের একটি মেয়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল থেকেই ওই দম্পতির ঘর বন্ধ ছিল। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও কারও সাড়া পাননি প্রতিবেশীরা। সন্দেহ হওয়ায় জানলার কাছে যেতেই তাঁরা দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছেন শংকর। প্রতিবেশীদের কাছে খবর পেয়ে পাশের ঘর থেকে ছুটে গিয়ে ওই দম্পতির মেয়ে ঘরে ঢোকে। এরপরই ঘরের মেঝে থেকে উদ্ধার হয় গীতারানির দেহ। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। ইতিমধ্যেই দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। কোনওদিনই তাঁদের মধ্যে বনিবনা হত না। পরস্পরকে সন্দেহ করত। তা নিয়ে বচসা লেগে থাকত। মঙ্গলবার রাতে বেশ কয়েকদন আত্মীয় গিয়েছিলেন ওই দম্পতির বাড়িতে। রাত প্রায় ১২ টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন তাঁরা। এরপরই ফের অশান্তি শুরু হয় ওই দম্পতির মধ্যে। চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশীরাও। কিন্তু দম্পতির নিত্যদিনের অশান্তির মধ্যেই ঢুকতে চাননি কেউ। পরে বুধবার সকালেও কারও দেখা না মেলায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপরই ঘর থেকে উদ্ধার হয় দেহ। মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতে অশান্তি চলাকালীন শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেন শংকরবাবু। এরপর কী হয়েছে তা জানা নেই তার। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে শংকরবাবু স্ত্রীকে খুনের পর আত্মঘাতী হয়েছেন, নাকি গীতাদেবীই স্বামীকে খুন করে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, তা নিয়ে এখনও ধন্দে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.