ছবি:প্রতীকী
রমণী বিশ্বাস, তেহট্ট: কাচের বোতলে হাত কাটা অবস্থায় সদ্যোজাত কন্যার দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার (Nadia) তেহট্ট থানার বেতাই সাধুবাজার চাপাগাড়া মাঠ এলাকায়। পরিকল্পনা মাফিক হাত কেটে খুনের পর শিশুটিকে ফেলে যাওয়া হয়েছে? নাকি শিশুটি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় তাকে ফেলে যাওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শিশুটির দেহ ইতিমধ্যেই ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে গোটা বিষয়টি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে দিন মজুরের কাজ শেষ করে ঘরে ফেরার সময় কৃষকেরা দেখতে পান মাঠে যাবার রাস্তার পাশে জল ভরতি কাচের জারের মধ্যে একটি কন্যা শিশুর দেহ। ঝড়ের গতিতে এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। এই অমানবিক দৃশ্য দেখার জন্য কাতারে কাতারে মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। বীরেন শিকদার নামে এক কৃষক জানান, রাস্তার পাশে জঙ্গলের দিকে ভাল করে লক্ষ্য করতেই দেখতে পান কাচের জার, কাছে গিয়ে লক্ষ্য করেন কাচের জারটিতে মানব শিশু! তার কনুই থেকে দুই হাতই কাটা।
স্থানীয় রঞ্জিত বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি বলেন, “যে বা যারা এ কাজ করেছে খুবই নিন্দনীয় কাজ। শিশুটিকে দেখে মনে হচ্ছে সদ্য প্রসব হয়েছে কিংবা লোকলজ্জার ভয়ে কোনও চিকিৎসকের সহযোগিতায় গর্ভপাত করানো হয়েছে। দুই হাত কেটে দেওয়ার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে জলভরতি কাচের জারে ডুবিয়ে রাখা হয়েছে।” তবে এলাকার মানুষের প্রশ্ন, কোনও পরিবারে যদি মৃত সন্তান প্রসব হয়ে থাকে তাহলে তার দুই হাত কাটা থাকবে কেন, আর কাটা হাত দুটিই বা কোথায় গেল।
তেহট্টের এক পুলিশ আধিকারিক জানান, ওটা সদ্য প্রসব হওয়া কন্যা সন্তান। আর কনুই থেকে হাত দুটো কাটা না বিকলাঙ্গ সেটা চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে বলতে পারবে। শিশুটি পূর্ণবয়স্ক না গর্ভপাত করানো হয়েছে, কীভাবে ওই কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের পর বলা সম্ভব। ইতিমধ্যে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.