প্রতীকী ছবি।
সৌরভ মাজি, বর্ধমান: বর্ধমান জেলা আদালতের মহিলা আইনজীবীর দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের আঝারপুরে। রবিবার সকালে বাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার হয়েছে ওই মহিলার হাত-পা বাঁধা দেহ। কী কারণে খুন হতে হল ওই আইনজীবীকে? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে জামালপুর থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে একাই থাকতেন বর্ধমান জেলা আদালতের আইনজীবী মিতালী ঘোষ। পরিচারিকা নিয়মিত এসে তাঁর সমস্ত কাজ করে দিয়ে যেতেন। অন্যান্যদিনের মতোই রবিবার সকালেও মিতালী দেবীর বাড়িতে কাজ করতে যান পরিচারিকা। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পরও মিতালীদেবীর সাড়াশব্দ পাননি ওই মহিলা। এরপর কোনওক্রমে তিনি দেখতে পান যে, ঘরের উঠোনে পড়ে রয়েছেন মিতালীদেবী। এরপর প্রতিবেশীদের খবর দেন তিনি। এরপর দরজা ভেঙে প্রতিবেশীরা মিতালীদেবীর বাড়িতে ঢোকেন। তাঁরা দেখতে পান গোটা বাড়ি লন্ডভন্ড। বাড়ির উঠোনে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে রয়েছে মিতালীদেবীর দেহ। পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, খোয়া গিয়েছে ঘরের প্রচুর গয়না-সহ বিভিন্ন সামগ্রী।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যায় জামালপুর থানার পুলিশ।তড়িঘড়ি দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। কিন্তু কারণে খুন করা হল এই আইনজীবীকে? ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত? এবিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। তবে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ডাকাতির উদ্দেশ্যেই ওই বাড়িতে চড়াও হয়েছিল দুষ্কৃতীরা। তবে মামলাজনিত কোনও অশান্তির জেরে এই খুনের ঘটনা কি না, তা ভাবাচ্ছে তদন্তকারীরা। খবর পেয়েই জামালপুরে পৌঁছন মৃতার ভাই। তাঁর অভিযোগ, সম্ভবত এলাকার কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। মৃতার পরিবার ও প্রতিবেশীদের থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে কীভাবে খুন করা হয়েছিল ওই মহিলাকে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরই সেই বিষয়টি স্পষট হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.