সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ডহারবার: দু’দিন পরই ছিল বিয়ে। পাত্রীও নিজের পছন্দের। কিন্তু বিয়ের দুদিন আগে পাত্রের রহস্যমৃত্যু। শিয়ালদহ-বজবজ শাখার নুঙ্গি স্টেশন সংলগ্ন বাটানগর রেলব্রিজের কাছ থেকে উদ্ধার হল রক্তাক্ত দেহ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আত্মহত্যা করেছেন যুবক নাকি দুর্ঘটনা? জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।
স্থানীয় ও মৃত যুবকের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১৭ জানুয়ারি পছন্দের পাত্রীর সঙ্গেই বিয়ের দিন ঠিক হয়েছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার বাসিন্দা দিব্যজ্যোতি চক্রবর্তীর (৩৫)। দুই পরিবারের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কও তৈরি হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু আচমকাই শেষ হয়ে গেল সবকিছু। শনিবার রাতে রেললাইনের ধার থেকে দেহ উদ্ধার হল দিব্যজ্যোতির। আর এই মৃত্যু ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। মৃতের এক আত্মীয়ের দাবি, পরিবারের লোকজন রবীন্দ্রনগর থানায় ওই যুবক রাতে বাড়ি না ফেরায় ওই রাতেই নিখোঁজ ডায়েরি লেখাতে থানায় গিয়ে জানতে পারেন, পাত্রীর মা অর্থাৎ তাঁর হবু শাশুড়িই রবীন্দ্রনগর থানায় দিব্যজ্যোতির মৃত্যুর খবরটি জানিয়েছেন।
প্রশ্ন উঠছে, দুই পরিবারের সম্পর্ক যখন তৈরিই হয়ে গিয়েছিল তখন হবু জামাইয়ের মৃত্যুর খবর তার বাড়িতে না জানিয়ে হাওড়ার সালকিয়া থেকে রবীন্দ্রনগর থানায় জানানো কেন বেশি জরুরি মনে করলেন পাত্রীর মা। তিনি জানলেন কী করে রেললাইনের ধারে দেহ পড়ে থাকার বিষয়টি, তা নিয়েও ধন্দ তৈরি হয়েছে। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ ঘিরে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। খুন, দুর্ঘটনা নাকি আত্মহত্যা তা নিয়ে ধন্ধে পুলিশ। ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে বলে তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।
এদিকে দিব্যজ্যোতির পরিবারের লোকেদের দাবি, কয়েকদিন ধরেই স্বাভাবিক জীবনযাপনে অসঙ্গতি ধরা পড়ছিল। তবে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা তাঁরা কখনও কল্পনাই করেননি। বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিল দিব্যজ্যোতি। তার মা, বাবা ছাড়াও বিবাহিত এক দিদি রয়েছেন। সম্পর্কের টানাপোড়েন নাকি অন্য কিছু, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.