পলাশ পাত্র, তেহট্ট: অবশেষে নদিয়ায় ফিরল সেনা জওয়ান পরিতোষ মণ্ডলের দেহ। শুক্রবার সকাল ৫ টায় নদিয়ার পলাশিপাড়ার রুদ্রনগরের বাড়িতে পৌঁছয় জওয়ানের দেহ। প্রায় এক ঘণ্টা বাড়িতে ছিল তাঁর দেহ। এরপর সেখান থেকে কফিনবন্দি দেহ নিয়ে যাওয়া হয় পলাশির ঘাটে। সেখানেই সৎকার করা হয়। কয়েকদিন পরেই যার বাড়ি ফেরার কথা ছিল, তাঁর কফিনবন্দি দেহ ঘরে ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন স্থানীয় বিধায়ক।
১৯৮৫ সালে সেনা বাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন নদিয়ার বাসিন্দা পরিতোষ মণ্ডল। বর্তমানে জম্মু কাশ্মীরের আরএসপুরা সীমান্তে কর্তব্যরত ছিলেন ৩৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের ওই জওয়ান। জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে ছেলে প্রীতমকে ফোন করেন ওই ব্যক্তি। জানান চলতি মাসের ২৬ তারিখ ১ মাসের ছুটিতে বাড়ি ফিরবেন তিনি। ছেলেকে টিকিট কাটতেও বলেন। এরপর আর বাবার সঙ্গে কথা হয়নি প্রীতমের। রবিবার সকালে সেনা বাহিনীর তরফে ওই জওয়ানের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয়, জম্মু কাশ্মীরের আরএসপুরা সীমান্তে খালের পাশে কর্তব্যরত ছিলেন পরিতোষ। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁর কোনও হদিশ মিলছে না। পরে মঙ্গলবার সকালে পরিতোষবাবুর কর্মস্থল থেকে রুদ্রনগরের বাড়িতে ফোন করে জানানো হয় তাঁর মৃত্যুর খবর।
এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধেয় শিয়ালদহে পৌঁছায় পরিতোষ মণ্ডলের দেহ। সেখান থেকে দীর্ঘ রাস্তা পেরিয়ে চাপড়ায় বিএসএফের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় দেহ। এরপর সেখান থেকে রুদ্রনগরের বাড়িতে দেহ পৌঁছতে শুক্রবার ভোর হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, বুধবার জওয়ানের স্ত্রী ও ছেলে প্রীতমের সঙ্গে কথা বলতে ও সমবেদনা জানাতে তাদের বাড়ি যান সাংসদ মহুয়া মৈত্র ও বিধায়ক তাপস সাহা। বিধায়ক বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দু:খজনক ঘটনা। তাঁদের সমস্যা হলে আমরা অবশ্যই পাশে থাকব।’ ঘরের ছেলে, সাহসী যোদ্ধা পরিতোষের মৃত্যুশোকে আপাতত পুজোর রেশ ম্লান হয়ে গিয়েছে গোটা রুদ্রনগরেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.