সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অগ্নিকাণ্ডের পর তিনদিন পেরিয়ে গিয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার ঘোলার প্লাস্টিক চেয়ার কারখানা থেকে দেহাংশ উদ্ধার করল বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ওই দেহাংশগুলি নিখোঁজ পাঁচ শ্রমিকের বলেই মনে করা হচ্ছে। সেগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। মুখে কুলুপ প্রশাসনের।
[কলকাতা থেকে ফিল্মি কায়দায় অপহরণ, আসানসোলে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার পুলিশের]
গত সোমবারই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ঘোলার ওই প্লাস্টিক চেয়ার কারখানায়। বেলা সাড়ে বারোটায় যখন আগুন লাগে, তখন কারখানায় কাজ করছিলেন ৬৯ জন শ্রমিক। তড়িঘড়ি কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন তাঁরা। চোখের নিমেষে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। একে একে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ৩৫টি ইঞ্জিন। আগুন নেভাতে সময় লেগে যায় ৪৮ ঘণ্টা। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘোলার ওই প্লাস্টিক চেয়ার তৈরির কারখানা পরিদর্শনও করেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে খোঁজ মিলছিল না কারখানার পাঁচজন শ্রমিকের। পরিবারের লোকের দাবি, কারখানায় যেদিন আগুন লাগে, সেদিন ওই পাঁচজন শ্রমিক কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু আর বাড়ি ফেরেননি।
এদিকে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পর কার্যত জতুগৃহে পরিণত হয় ঘোলার প্লাস্টিক চেয়ার তৈরির কারখানাটি। তবে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিখোঁজ শ্রমিকদের খোঁজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা। মাঝে শোনা গিয়েছিল, ফরেনসিক নমুনা সংগ্রহের সময়ই পাঁচজন শ্রমিকের দেহাংশ পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু সেই দাবি খারিজ করে দেয় দমকল। শেষপর্যন্ত অগ্নিকাণ্ডের তিনদিন পর ভস্মীভূত প্লাস্টিক চেয়ার কারখানায় মিলল দেহাংশ। বুধবার সন্ধ্যায় বিপর্যয় মোকাবিলার দলের সদস্যরা দেহাংশ উদ্ধার করেছেন বলে জানা গিয়েছে। দেহাংশগুলি নিখোঁজ শ্রমিকদের বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য সেগুলি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্লাস্টিক চেয়ার কারখানা থেকে শ্রমিকদের দেহাংশ উদ্ধার হওয়া নিয়ে অবশ্য এখনও স্বীকার করেনি প্রশাসন |
[ মাঘ মাসে শারদোৎসব! অকাল বোধনকে ঘিরে আনন্দে মাতোয়ারা এই গ্রামের মানুষ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.