ফাইল ছবি
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক কীভাবে বাড়িতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) চিকিৎসা করলেন? কার নির্দেশে? তা নিয়ে জোর চর্চা চলছে। ইতিমধ্যেই চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী কাঠগড়ায় তুলেছেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মুকে। এবার মুখ খুললেন সুপারও। জানালেন জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই হাসপাতালের চিকিৎসককে অনুব্রতর বাড়ি পাঠানো হয়েছিল।
এসএসকেএমের চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, অনুব্রত মণ্ডলের ক্রনিক কিছু সমস্যা থাকলেও ভরতির প্রয়োজন নেই। মঙ্গলবার বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসকরা বাড়ি গিয়ে তাঁকে পরীক্ষা করে জানান, তাঁর ১৪ দিনের বেডরেস্ট প্রয়োজন। দুই চিকিৎসকের আলাদা পরামর্শ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। এরই মাঝে বোলপুর হাসপাতালের চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী কার্যত বোমা ফাটান। তিনিই গিয়েছিলেন অনুব্রতর বাড়ি। চন্দ্রনাথ দাবি করেন সুপারের নির্দেশেই অনুব্রতর বাড়ি গিয়েছিলেন তিনি। অনুব্রত মণ্ডলের কথা শুনে ১৪ দিন বেডরেস্ট লিখতে হয়েছিল চন্দ্রনাথ অধিকারীকে। এরপরই সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
এরপরই প্রকাশ্যে আসে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, গত ৬ আগস্ট থেকে ছুটিতে রয়েছেন বোলপুর হাসপাতালের সুপার বুদ্ধদেব মুর্মু। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ডা. দিব্যেন্দু দত্ত। ১১ তারিখ কাজে যোগ দেওয়ার কথা বুদ্ধদেববাবুর। এখানেই প্রশ্ন, ছুটিতে থাকাকালীন কীভাবে চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারীকে অনুব্রতর বাড়িতে পাঠালেন তিনি? আদৌ কি এভাবে সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে বাড়িতে পাঠানো যায়? চিকিৎসক বুদ্ধদেব মুর্মুর দাবি, জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই তিনি চন্দ্রনাথ অধিকারীকে পাঠিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চর্চা শুরু হয়েছে সবমহলে। তবে এবিষয়ে জেলা প্রশাসনের কোনও আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
প্রসঙ্গত, চিকিৎসক চন্দ্রনাথ অধিকারী এর আগেও একাধিকবার হাসপাতালের পরিবেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফেসবুকে লিখেছিলেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর শারীরিক, মানসিক নিগ্রহ করা হয়। অভিযোগ করেও কোনও লাভ হয় না বলেই দাবি তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.