ব্রতদীপ ভট্টাচার্য ও রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: ফের নতুন করে উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল এলাকা। বিকেলে জগদ্দলের মজদুর ভবনে বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Sing) বাড়ি লাগোয়া এলাকায় দফায় দফায় বোমাবাজি হয়। তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। যদিও বোমাবাজিতে হতাহতের কোনও খবর মেলেনি। পরে জগদ্দল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে, দুষ্কৃতীরা গা ঢাকা দেয়। এ নিয়ে টুইটারে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাংসদ অর্জুন সিং।
दीदी और उनकी पुलिस भले एफआईआर दर्ज करे और कहीं से झूठी-सच्ची चिट्ठी लाये।
तस्वीरें झूठ नहीं बोलतीं। देखिये कायरों की हरकत कि मंदिर पर बम फेंके।
ये तो कृपा है कि माता का मंदिर सुरक्षित है।
बहुत हुआ अत्याचार, अब होगा पलटवार।@BJP4Bengal @KailashOnline @MenonArvindBJP pic.twitter.com/LfCk2ax5HX
— Arjun Singh (@ArjunsinghWB) September 3, 2020
সাংসদের অভিযোগ, তাঁর বাড়ির পিছন দিকে ও আশপাশের এলাকায় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা বোমা ছোঁড়ে। এভাবে রাজ্যের শাসকদল বারবার তাঁকে টার্গেট করে আক্রমণ চালাচ্ছে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চক্রান্ত চলছে বলেও অভিযোগ করেন সাংসদ। এদিকে, পালটা স্থানীয় তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যামের অভিযোগ, ”অর্জুন সিংই এদিন দুষ্কৃতীদের দিয়ে বোমাবাজি করিয়েছে। আমাদেরই এক কর্মীর বাড়ির পিছন দিকে বোমা মারা হয়।” স্থানীয়দের অভিযোগ, সব মিলিয়ে পরপর প্রায় ১৫ টি বোমা পড়ে এলাকায়। তবে দুষ্কৃতীরা পলাতক। তাই কে বা কারা বোমাবাজি করল, সে বিষয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। তদন্ত শুরু হয়েছে।
অন্যদিকে, ভাটপাড়া – নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের দুর্নীতির নিয়ে ফের একবার পারদ চড়ল। ওই সমবায় ব্যাংকের কয়েক কোটি টাকা তছরূপের অভিযোগে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর ভাইপো পাপ্পু সিংহের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। সম্প্রতি এই মামলায় সাংসদের বাড়িতে তল্লাশির চালিয়েছেন বারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে প্রায় ২০ কোটি টাকা বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার নামে লোন তোলা হয়েছিল।
এরই মাঝে বৃহস্পতিবার ওই ব্যাঙ্কের বোর্ড অফ ডাইরেক্টরের মিটিং ঘিরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান তথা ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং বৈঠকে উপস্থিত হলে ব্যাংকের পরিচালনা সমিতির কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, তদন্তে নেমে জানা গিয়েছে ২০১৮ সালের ২২ ও ২৮ তারিখে ২৬ টি লোন পাশ হয়েছিল। সেগুলি ভিন্ন অ্যাকাউন্ট থেকে পরে একটি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করা হয়। সে বিষয়টি এদিন বৈঠকে উত্থাপন হতেই ব্যাংকের পরিচালন সমিতির বেশিরভাগ সদস্য দাবি করেন, তাঁরা এ বিষয়ে কিছুই জানতেন না। স্বাভাবিকভাবেই বৈঠকে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হয় সাংসদকে। তার উপর এদিন তাঁরই বাড়ি লাগোয়া এলাকায় বোমাবাজির ঘটনায় স্পষ্টতই ক্ষুব্ধ তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.