সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,দুর্গাপুর: করোনা ভাইরাসের অভিশাপ যেন আর্শীবাদ হয়ে নেমে এল মদ্যপদের কাছে। সংক্রমণের আশঙ্কায় বন্ধ হয়ে গেছে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ পরীক্ষা। এমনকী মদ্যপ অবস্থায় কেউ গাড়ি চালাচ্ছেন কি না, তা বুঝতে শ্বাস পরীক্ষাও কেউ করছেন না সাহস করে। ফলে রাস্তায় মদ্যপদের অবাধ গতিবিধি।
মারণ জীবাণুর প্রভাবের কারণে সপ্তাহ খানেক আগে অ্যাডভাইজারি আসে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের কাছেও। তাতে বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশদের জন্যেই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ দুর্গাপুর ও আসানসোলের বিভিন্ন জায়গায় ব্যারিকেড করে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করে। ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে সঙ্গে বাইক ও গাড়ি চালক মদ্যপ কি না, তাও পরীক্ষা করে দেখা হত। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর ও বিভিন্ন উৎসবের সময়ে এই পরীক্ষা করত ট্রাফিক। প্রথমে প্রথাগত পদ্ধতিতে এই পরীক্ষা হত। পরে আসে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ যন্ত্র। দুই শহরেরই ট্রাফিকের হাতে এই যন্ত্র দেখলেই বুক কাঁপত মদ্যপায়ীদের।
ট্রাফিক আইন মোতাবেক গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণে ‘ব্রেথ অ্যনালাইজার’ অনেকটাই দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করতেও সক্ষম হয়েছে দুর্গাপুর-আসানসোলে। শহরের বার থেকে বের হতেই যন্ত্র হাতে দাঁড়িয়ে থাকত পুলিশ। যা দেখে নেশা উড়ে যেত মদ্যপদের। এবার করোনা সংক্রমণের প্রকোপ থেকে পুলিশকে বাঁচাতেই বন্ধ করা হল ‘ব্রেথ অ্যনালাইজার’ কিংবা মদ্যপ পাকড়াওয়ের প্রথাগত পদ্ধতি। আর তাতেই প্রাণ খুলে ‘চিয়ার আপ’ করার সুযোগ এসেছে মদ্যপদের। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশের এসিপি (ট্রাফিক) শাশ্বতী শ্বেতা সামন্ত জানান, “গত সপ্তাহেই এই মর্মে নোটিস এসেছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নিয়ম বহাল থাকবে। তবে ট্রাফিক পুলিশ মদ্যপ অবস্থায় আরোহীকে দেখতে পারলেই তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।” আর তারপর পথ সুরক্ষা নিয়ে ভাবনা বেড়েছে সাধারণ মানুষের। কারণ, পথেঘাটে রাতদুপুরে মদ্যপদের তাণ্ডব চলবে বলে আশঙ্কা তাঁদের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.