শান্তুনু কর, জলপাইগুড়ি: মদ্যপানে আসক্তি ছিল দাদা ও ভাইয়ের। প্রায়ই নেশার টাকা নিয়ে তুমুল বচসা হয়। অভিযোগ, মদ্যপ অবস্থায় নিজের দাদাকেই খুন করেছে ভাই। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে দাদার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত ভাই। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাইগুড়ি শহরে। প্রতিবেশীদের দাবি, রাতভর দাদার মৃতদেহ বাড়িতে পড়ে থাকলেও, ভাইয়ের কোন হেলদোল ছিল না। বারান্দায় পায়চারি করছিল সে।
[অমানবিক! সম্পত্তির লোভে বৃদ্ধাকে বেদম মার বোনের, দেখুন ভিডিও]
জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুজিত দাস। জলপাইগুড়ি শহরের কংগ্রেস পাড়ায় ভাড়াবাড়িতে ছোট ভাই প্রসেনজিতের সঙ্গে থাকতেন তিনি। সুজিত অবিবাহিত। তবে তাঁর ভাই প্রসেনজিতের বিয়ে হয়েছিল। কিন্ত, স্ত্রী আলাদা থাকেন। প্রতিবেশীদের দাবি, মৃত যুবক জলপাইগুড়ি শহরে টোটো চালাতেন। তবে তাঁর ভাই তেমন কিছু করত না। দাদা ও ভাই দু’জনেরই মদ্যপানে আসক্তি ছিল। রোজ রাতে আকন্ঠ মদ্যপান করে বাড়ি ফিরতেন সুজিত ও প্রসেনজিত। মদ্যপ অবস্থায় দুজনের তুমুল বচসা হত। প্রতিবেশীদের দাবি, শনিবার রাতেও সুজিত ও প্রসেনজিতের মধ্যে কথা কাটাকাটির আওয়াজ পান তাঁরা। তখনই দাদার মাথায় রড জাতীয় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করে প্রসেনজিত। সুজিতের চিৎকার শুনতে পান প্রতিবেশিরা। তাতেই সন্দেহ দানা বাঁধে।
[ফের সিভিক ভলানটিয়ারদের ‘দাদাগিরি’, লরির চালককে নিগ্রহ]
রবিবার সকালে স্থানীয় কোতুয়ালি থানায় খবর দেন প্রতিবেশীরা। দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পুলিশ দেখে, শোওয়ার ঘরে সুজিতের রক্তাক্ত দেহ পড়ে রয়েছে। বারান্দার পায়চারি করছে প্রসেনজিত। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত ভাইকে। পুলিশের দাবি, জেরায় দাদাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে প্রসেনজিত। অভিযুক্ত জানিয়েছে, রাতে মদ্যপ অবস্থা সুজিত বিরক্ত করছিলেন। তাই তাঁর মাথায় লোহার রড দিয়ে আঘাত করে সে।
[পুলিশ এসে বিয়ে আটকাল নাবালিকার, তবু বউভাতের ভোজ খেল গোটা গ্রাম]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.