Advertisement
Advertisement
Nadia

বাংলাদেশ সীমান্তে আন্ডারগ্রাউন্ড বাঙ্কারের হদিশ, নদিয়ায় চক্ষুচড়কগাছ বিএসএফ জওয়ানদের

গোটা এলাকা ঘিরে জওয়ানরা অভিযান চালান।

BSF seized lakhs of cough syrup inside a bunker in Nadia
Published by: Suhrid Das
  • Posted:January 24, 2025 7:38 pm
  • Updated:January 24, 2025 8:43 pm  

সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: মাটির নিচে বানানো হয়েছিল গোপন বাঙ্কার। উপরের অংশ লোহার পাত দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার হল লক্ষাধিক বোতল কফ সিরাপ। নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের মাজদিয়ার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় এই ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ এই অভিযান চালিয়ে কফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করেছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সীমান্ত এলাকায় উত্তাপ বাড়ছে। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের ঘটনাও দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিদের আসার আশঙ্কাও বাড়ছে ক্রমশ। দীর্ঘদিন ধরে বিএসএফ জওয়ানরা রীতিমতো কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। আর সেখানে নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় এই বাঙ্কারের দেখা মিলল।

Advertisement

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিএসএফ জওয়ানরা ওই এলাকায় হানা দেন। মাজদিয়া সুধীর রঞ্জন লাহিড়ী মহাবিদ্যালয়ের সামনে একটি বড় বাগান আছে। সেই বাগানের ভিতরেই এই তিনটি বাঙ্কারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। লোহার ওই বাঙ্কারের ভিতরেই বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গোটা এলাকা ঘিরে রেখে জওয়ানরা সেখানে অভিযান চালান। ঢাকনা খুলে ভিতরে নামতেই চক্ষুচড়কগাছ হয় জওয়ানদের। একাধিক বস্তায় ওই বোতল সাজিয়ে রাখা হয়েছিল।

BSF seized lakhs of cough syrup inside a bunker in Nadia
উদ্ধার এই বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ। নিজস্ব চিত্র

কীভাবে সেখানে ওই বাঙ্কার তৈরি হল? সাধারণ মানুষজন এই ব্যাপারে কতটা জানেন? সেসব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কয়েক লক্ষ বোতল কফ সিরাপ সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে। বাংলাদেশে পাচারের জন্য ওই বিপুল পরিমাণ কফ সিরাপ নিয়ে আসা হয়। কিন্তু সীমান্তে কড়া নজরদারির জন্য আর সেসব পাচার হয়নি। সেজন্যই লুকিয়ে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। বাজেয়াপ্ত ওই কফ সিরাপের মূল্য কয়েক লক্ষ টাকা। বাগান-সহ ওই এলাকায় ধারাবাহিক তল্লাশি অভিযান চলবে বলে খবর। ওই বাঙ্কারে কি অস্ত্র-সহ অন্যান্য বিস্ফোরকও মজুত রাখা হয়? বাংলাদেশ পাচারের জন্য কি গোপন সুড়ঙ্গও রয়েছে? সেসব বিষয়ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এই ঘটনায় সাধারণ বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাহলে ওই এলাকায় পাচারকারীরা আরও অনেক কিছু লুকিয়ে রেখেছে? সেই প্রশ্নও উঠেছে। স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement