কলহার মুখোপাধ্যায়: ভরদুপুরবেলা পাঁচিল টপকে ঢুকে কর্মীদের মারধর করে বের করে এক ব্যবসায়ীর কারখানা কবজা করে নেওয়ার অভিযোগ উঠল শিলিগুড়ির এক দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে উত্তরবঙ্গের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ওই পিন্টু নামে ওই দুষ্কৃতী। ঘটনার পর এনজিপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কারখানা মালিক। তবে দু’দিন কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
কারখানা মালিক রমাকান্ত বর্মণ জানিয়েছেন, পিন্টু ও তার দলবল কারখানা দখল করে রেখেছে। তিনি নিজের কারখানাতেই ঢুকতে পারছেন না। রমাকান্তবাবু গ্রিনজেন বায়ো প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার মালিক। এই সংস্থাটি হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজ করে। শিলিগুড়ির ফুলবাড়িতে এদের কারখানা। আর ভক্তিনগর এলাকায় সংস্থার অফিস রয়েছে। ভক্তিনগরের অফিসেও পরশু দিন হামলা চালিয়ে সেটি দখল করে নেয় পিন্টু ওরফে সুব্রত চন্দ্র দাস। বৃহস্পতিবার সেই অফিসে ঢুকতে গেলে রমাকান্তের ভাই শশীকান্ত ও সংস্থার সুপারভাইজার মণিকান্ত রায় নামে এক ব্যক্তিকে তুলে নিয়ে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তাঁরা মুখার্জি নাসির্হোম নামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। শশীকান্তের রক্তবমি হচ্ছে, তাঁর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তাঁর দাদা। রমাকান্তবাবুর অভিযোগ, এই ঘটনার অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ সহযোগিতা করেনি। পরে পুলিশ কমিশনারের হস্তক্ষেপে এনজিপি থানায় এফআইআর হয়।
ঘটনার কথা জানাতে গিয়ে রমাকান্ত বর্মণ জানিয়েছেন, এই সংস্থায় তাঁর স্ত্রী বিনীতা বর্মণ ছাড়া একটি বেসরকারি নির্মাণ সংস্থার দুই ব্যক্তি ডিরেক্টর পদে ছিলেন। মাসখানেক আগে দুই ডিরেক্টর পাওনাগণ্ডা বুঝে নিয়ে পদত্যাগ করেন। বর্তমানে রমাকান্ত ডিরেক্টর পদে বসেছেন। রমাকান্তের বক্তব্য, এই ঘটনা দিয়েই গন্ডগোলের সূত্রপাত। মন্ত্রী গৌতম দেব ঘটনাটি সম্পর্কে বলেছেন, “হাসপাতালের বর্জ্য সংগ্রহ করার কাজে দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলতে দেওয়া যায়না। এক পক্ষ আমাকে হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়েছেন। অপর পক্ষও এসেছিলেন। তাঁরাও যদি একই অনুরোধ করেন তাহলে বিধায়ক হিসাবে বিষয়টি আমি দেখব। না হলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”
দেখুন ভিডিও:
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.