ছবি: প্রতীকী
টিটুন মল্লিক, বাঁকুড়া: ব্যবসার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা ধার নিয়েছিলেন। বারবার বলা সত্ত্বেও শোধ করেননি এক টাকাও। টাকা ফেরত না পেয়ে শ্বাসরোধ করে জামুড়িয়ার জুতো ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়। খুনের ঘটনায় রবিবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল বাঁকুড়ার পুলিশ।
জামুড়িয়ায় জুতোর ব্যবসা করতেন সৈয়দ মহম্মদ তৌফিক। তাঁর সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল আসানসোলের হীরাপুরের বাসিন্দা মহম্মদ জিলান ওরফে গোল্ডির। ব্যবসার জন্য ধাপে ধাপে ১০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিল গোল্ডি। বারবার বলা সত্ত্বেও সেই দেনা শোধ করেননি তৌফিক। বৃহস্পতিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। এরপরই জামুড়িয়া থানায় নিখোঁজ থাকার অভিযোগ দায়ের হয়। সেই সময় মহম্মদ জিলান ওরফে গোল্ডির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।
শুক্রবার বাঁকুড়ার শালতোড়া থানার বিহারীনাথ পাহাড় এলাকা থেকে একটি দেহ উদ্ধার হয়। লুঙ্গির মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়েছিল মৃতদেহটি। সঙ্গে ছিল বেশকিছু পোস্টকার্ড। দেহটি উদ্ধার করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি আদপে নিখোঁজ ব্য়বসায়ী তৌফিকের। খুনের মামলা রুজু করে শুরু হয় তদন্ত। এরপর রবিবার দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
গোল্ডির পাশাপাশি আরেক অভিযুক্ত হীরাপুরের বাসিন্দা ভুট্টকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জানা দিয়েছে, জামুড়িয়ায় তৌফিক, ভুট্ট এবং গোল্ডি একসঙ্গে খেতে বসেছিলেন। সেখানেই পানীয়তে মাদক মিশিয়ে খাওয়ানো হয় জুতো ব্যবসায়ীকে। তারপর শ্বাসরোধ করে তৌফিককে খুন করা হয়। জামুড়িয়া থেকে দেহ এনে শালতোড়া এলাকায় ফেলে যেতে গোল্ডিকে সাহায্য করেছিল ভুট্ট। এমনই দাবি বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারির। এদিন দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর সাংবাদিক বৈঠক করে তৌফিকের মৃত্যুরহস্য উন্মোচন করেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.