দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: আগাথা ক্রিস্টি, ব্যোমকেশ বক্সী বা ফেলুদার কোনও গল্পের প্লট নয়। এটা একেবারে বাস্তবের ঘটনা। খুনের সুপারি নেওয়ার জন্য রীতিমতো ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে চলছিল প্রচার। সেই অভিযোগে ক্যানিংয়ের যুবককে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
ধৃত যুবকের নাম মোর সেলিম মোল্লা। বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং থানার গোপালপুর গ্রামে। বুধবার মোরসালিমকে আলিপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে পুলিশ হেফাজতে নির্দেশ দিয়েছেন। গোপালপুর গ্রামের মোরসালিম কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে দাবি পরিবারের সদস্যরা।
সেই যুবক নিজেই খুনের বরাত নেওয়ার জন্য ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে চারিদিকে ছড়িয়েছেন। কার্ডে নাম লেখা ‘বুলেট’। সঙ্গে লেখা ‘হাফ মার্ডার, ফুল মার্ডার করা হয়’। যেমন পয়সা, তেমন কাজ। ভিজিটিং কার্ডের এরকম বিজ্ঞাপন দেখে চোখ কপালে পুলিশের। ওই যুবককে আপাতত জেরা করছে ক্যানিং থানার পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত বেশিকিছু জানতে পারেনি পুলিশের আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে ক্যানিংয়ে যখন তিন যুবককে কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল। সেই খুনের ঘটনার পর এই মোরসালিম মোল্লাকে পুলিশ গ্রেপ্তারও করে। তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্রও পাওয়া গিয়েছিল। সেই অভিযোগে তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ওই তিন যুবক খুনের মূল অভিযুক্ত রফিকুল মোল্লার আত্মীয় বলে পরিচিত ছিল সে। তারপর অবশ্য জামিনে ছাড়াও পেয়ে যায়। তখনও পরিবারের লোকজন দাবি করেছিল, ওই যুবক মানসিক ভাবে কিছুটা ভারসাম্যহীন।
এ বিষয়ে মোরসেলিমের মা মর্তুজা বিবি বলেন, “আমার ছেলে মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন ওর চিকিৎসা চলছে। তাকে নিয়ে বারবার পুলিশ বিভিন্ন ঘটনায় গ্রেপ্তার করে কেস দিচ্ছে। সমস্ত কাগজপত্র থানায় জমা দিয়েছি।” বিষয়টি জানার পর তদন্ত শুরু করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ। সত্যিই সে মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তাও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই ঘটনার সঙ্গে আর কে কে জড়িত সেটাও পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.