ধীমান রায়, কাটোয়া: জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় স্কুল পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। দুর্ঘটনায় জখম আরও তিনজন। প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে জাতীয় সড়কে অবরোধ করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অবরোধ তুলতে শেষ পর্যন্ত লাঠিচার্জ করতে হল পুলিশকে। ধুন্ধুমার কাণ্ড পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায়।
মৃত স্কুল পড়ুয়ার নাম ইন্দ্রজিৎ দাস। বাড়ি, গুসকরা শহরের নেতাজি পল্লিতে। বুধবার রাতে বাবার সঙ্গে খাবার কিনতে বেরিয়েছিল সে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, খাবার নিয়ে যখন ফিরছিল ইন্দ্রজিৎ, তখন রাস্তার উলটো দিক থেকে মারুতি চালিয়ে আসছিলেন গগন শেখ নামে এক ব্যক্তি। তাঁর বাড়িও গুসকরা শহরেই। প্রচন্ড গতিতে এসে মারুতিটি সজোরে ধাক্কা দেয় ইন্দ্রজিৎকে। রাস্তা ছিটকে পড়লে, ওই বালককে পিষে দিয়ে চলে যায় গাড়িটি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ৫০০ মিটার দূরে গিয়ে ফের এক সাইকেল আরোহী ও পথচারীকে ধাক্কা মারে মারুতিটি। দু’জনেই গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভরতি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, পরপর দুর্ঘটনা ঘটিয়ে গুসকরা কুনুর নদীর সেতু পেরিয়ে নতুনহাট রোড দিয়ে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন অভিযুক্ত গগন শেখ। কিন্তু ফের দুর্ঘটনা ঘটে। এবার গুসকরা শহরের নদীপটি এলাকায় একটি সিনেমা হলের সামনে ইন্দু সরকার নামে পথচারীকে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি।
এদিকে এই ঘটনার পর আর পালাতে পারেননি গাড়ির চালক গগন শেখ। গুসকরার নদীপটি এলাকা গাড়ি-সহ তাঁকে ধরে ফেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন গগন। তাই নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে একের এক দুর্ঘটনা ঘটিয়েছেন তিনি। মৃত ও আহতদের আর্থিক সাহায্য করার দাবিতে বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত গুসকরা শহরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে রাখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। জাতীয় সড়কে জ্বালানো হয় টায়ারও। প্রথমে বুঝিয়ে অবরোধ তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্ত কাজ না হওয়া লাঠিচার্জ করে অবরোধকারীদের হটিয়ে দেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.