শুভদীপ রায় নন্দী, শিলিগুড়ি: অবশেষে খোঁজ মিলল তিস্তায় তলিয়ে যাওয়া এক পর্যটকের। দিন দুই আগে তিন পর্যটক তলিয়ে যান স্রোতস্বিনী তিস্তায়। শুক্রবার সকালে তাঁদের মধ্যে একজনের খোঁজ পাওয়া যায়। পুলিশ সূত্রে খবর, তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৪৬ কিলোমিটার দূরে গজলডোবা থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ।
[ আরও পড়ুন: গাড়ি থামিয়ে দুষ্কৃতীদের গুলি-বোমাবাজি, মুর্শিদাবাদে খুন তৃণমূল নেতা ]
বুধবার শিলিগুড়ি থেকে পর্যটকদের নিয়ে সিকিমের দিকে যাচ্ছিল পর্যটকদের একটি গাড়ি। সেবকের কোরোনেশন ব্রিজের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আচমকাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তিস্তায় পড়ে যায় গাড়িটি। গাড়িতে মোট ৪ জন ছিলেন। তার মধ্যে তিনজন পর্যটক, একজন গাড়িচালক। তিনি শিলিগুড়ির ভানুনগরের বাসিন্দা। নাম রাকেশ রাই। নিখোঁজ ছিলেন তিনি। খোঁজ পাওয়া যায়নি তিন পর্যটকেরও। শুক্রবার সকালে সেই নিখোঁজ পর্যটকদের একজনের দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ওই তিন পর্যটকের নাম আমন গর্গ, গৌরব শর্মা ও গোপাল নারওয়ানি। তাঁরা তিনজনেই রাজস্থানের কোটা জেলার বুন্দি শহরের বাসিন্দা। নিখোঁজ হওয়ার দিন থেকে পুলিশ ও দমকলের কর্মীরা সেবকে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন। কিন্তু কোনও হদিশ মিলছিল না। শুক্রবার সকালে শিলিগুড়ি সংলগ্ন গজলডোবার ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্রের লিঙ্ক ক্যানেলের কজওয়ের কাছে পলির মধ্যে একটা দেহ ঢুকে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের মিলনপল্লি ফাঁড়ির পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ৪৬ কিলোমিটার দূরে উদ্ধার হয় দেহ। NDRF ও SDRF আধিকারিকরদের অনুমান, তিস্তার জল বেড়ে যাওয়া সেবক থেকে দেহ বয়ে গিয়েছে গজলডোবা পর্যন্ত।
[ আরও পড়ুন: ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া, দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন যুবক ]
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ উদ্ধারের পর সন্দেহ হয় দেহটি হারিয়ে যাওয়া তিন পর্যটকের মধ্যে একজনের। তাই নিখোঁজদের পরিবারের সদস্যদের খবর পাঠানো হয়। অঙ্কিত গর্গ আমনের দেহ শনাক্ত করেন। নিখোঁজ বাকি ২ পর্যটকের দেহ এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে আমনের দেহ উদ্ধারের পর সেবকের পাশাপাশি গজলডোবাতেও তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.